জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আগাম জাতের আলু চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনের পাশাপাশি আশাতীত দাম পেয়ে এবার বেশ খুশি আলু চাষিরা।
চলতি মৌসুমে আলু বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, মজুরি, সেচ সবকিছু মিলিয়ে আলু উৎপাদনে খরচ বেড়েছে আলু চাষিদের। এবার ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন।
জানা গেছে, প্রতি বিঘায় আলু উৎপাদনের খরচ বাদ দিয়ে এক বিঘা জমিতে কৃষকের লাভ হচ্ছে গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা। কালীগঞ্জে চলতি মৌসুমে প্রায় ১০১০ হেক্টর জমিতে আগাম স্থানীয় ৭ জাতের আলু চাষ হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলায় দুই ধরনের জমিতে আলু চাষ হয়ে থাকে। আগাম স্থানীয় ৭ জাতের আলু চাষ হয় জেলার বিভিন্ন গ্রামের ভিটেমাটির জমিতে। আর আমন ধান কাটার পর ব্যাপক হারে চাষ হয় এঁটেল ও দোআঁশ মাটির জমিতে। গত অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ মৌসুম শুরু হয়। ৬০-৬৫ দিনে আগাম জাতের এ আলুর ফলন হয় ৫০-৬০ মণ প্রতি বিঘা জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, যথাসময়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করার ফলে কৃষকরা সকল সমস্যা মোকাবিলা করে আলুর ভালো ফলনে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর চলতি রবি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০১০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১০৯০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন প্রতি শতাংশ জমিতে আড়াই মণ আলু উৎপাদন হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর মূল্য ৫০ থেকে ৬০ প্রতি মণ আলু ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।