লালমনিরহাটে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে স্নাতক এবং স্নাতোকত্তোর পর্যায়ে পাঠদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭টি অনুষদ, ৩৭টি ডিপার্টমেন্ট এবং ৪টি ইনস্টিটিউট চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট বিমানবন্দর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি চালু হলে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিমান চালনা ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এভিয়েশনের ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক ও বেসামরিক মানব সম্পদ উন্নয়ন তৈরি হবে। জ্ঞান ভিত্তিক কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশের মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।’

লালমনিরহাট বিমান বন্দর চালুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরেই এই বিমান বন্দর চালু করা হবে এবং সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট ওঠানামার জন্য বিমান বাহিনীর প্রধানের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর এয়ার ভাইস মার্শাল এ. এইচ. এম. ফজলুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রসর বিশ্বের সহিত সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাভিয়েশন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন পাস করা হয়।