জুমবাংলা ডেস্ক : প্রয়োজনে বহুদিনের জন্য বন্ধ থাকা লালমনিরহাট বিমানবন্দরের পুনরায় চালুর কথা জানালে মহাসময়ের আলোচনায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বলেছে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই বিমানবন্দর চালু করা হয়েছে। তবে এই পুনরায় চালু করার উদ্যোগ ভারতকে উদ্বেগে ফেলেছে। ভারত তাদের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর বিমানঘাঁটি পুনরায় চালুর ব্যবস্থাও নিতে পারে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি: নতুন করে চালুর প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশের লালমনিরহাট বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে সেনাবাহিনী এই বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পেছনে বিভিন্ন স্থলের নিরাপত্তা ও যোগাযোগের দিক রয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এক ব্রিফিংয়ে জানান যে, এই কর্মকাণ্ডটি দেশের স্বার্থে এবং ন্যায় ভিত্তিক প্রয়োজনীয়তার কারণে ঘটছে। বার্তা সংস্থা এনডিটিভি রিপোর্ট করেছে যে, বাংলাদেশ এই বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার জন্য চীনের সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা করছে।
Table of Contents
ভারতীয় উদ্বেগ: চীন ও সামরিক উপস্থিতি
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রশাসন লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কারণ, এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ভারতীয় ‘চিকেন নেক’ অঞ্চলের কাছে। এই প্রসঙ্গে ভারতের চাইলো, প্রতিটি পদের মধ্যে একটি সামরিক অবকাঠামো স্থাপন করা হলে তা চীনারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, যদি চীন বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম স্থাপন করে, তাহলে এটি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। তারা সতর্ক করেন যে, বাংলাদেশের লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু হলে সেখানে যুদ্ধবিমান, রাডার ও নজরদারি সরঞ্জাম স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সরকার ইতোমধ্যেই তাদের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর বিমানঘাঁটি পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করেছে। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হবে, তবুও সেখানে সামরিক উপকরণ উন্নত করার চেষ্টা থাকবে যাতে যুদ্ধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যেতে পারে।
ইতিহাসের পটভূমি এবং বর্তমান অবস্থান
এই ধরনের পদক্ষেপটি রাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি নতুন নজির স্থাপন করতে পারে যেহেতু ২০১৪ সালের পর পরিস্থিতির পরিবর্তনে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের স্বর্ণযুগ দিন দিন সংকুচিত হয়েছে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যথেষ্ট সহযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আইএমডি সহকারী সরকার নিয়ে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির কারণে এই সম্পর্কগুলো একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে।
এখন, লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর বিষয়টি বাংলাদেশের মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে সংকল্প রয়েছে, তা সুষ্ঠু করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এবং স্থায়ী পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের এই সুবিধাপ্রাপ্তি হবে।
বর্তমান সময়ে, বিমানবন্দর পুনরায় চালুর প্রতি সাধারণ জনগণের মধ্যেও নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একদিকে কিছু জনগণের মনে রয়েছে যে এটি দেশের জন্য একটি নতুন সুযোগ, অন্যদিকে কিছু মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে, এর দ্বারা ভারত ও চীনের মধ্যে নতুন দ্বন্দ্ব দেখা দেবে।
বাংলাদেশ সরকার অবশ্য মূর্তিদকারক নানা উদ্যোগের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং উঠা সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে।
বিএনপি নেতার ৯ মাসের বিদ্যুৎবিল বকেয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় লাইনম্যানকে মারধর
FAQs Section
1. লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর কারণ কী?
লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর অন্যতম কারণ হলো দেশের নিরাপত্তা ও যোগাযোগের সুবিধা বৃদ্ধি করা।
2. কেন ভারত লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর বিষয়ে উদ্বিগ্ন?
ভারত উদ্বিগ্ন কারণ বিমানবন্দরটি সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত এবং এতে চীনের সামরিক উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
3. বাংলাদেশ এবং ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি কী?
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের মধ্যে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে।
4. চীনের উপস্থিতি কীভাবে ভারতের জন্য উদ্বেগমূলক?
çীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগ বেশি কারণ এটি সামরিক সামগ্রী এবং নজরদারি সরঞ্জাম স্থাপনের সম্ভাবনা বাড়ায়।
Disclaimer: This article is intended for informational purposes only and should not be construed as professional advice. Content accuracy is checked to the best of our ability but is subject to change. Always verify directly with official sources.
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।