জুমবাংলা ডেস্ক: যে কোনো কিছু লেখার জন্য বলুন তো কী দরকার। হ্যাঁ, ঠিক তাই। পেন বা কলম। কে না জানে লেখার ক্ষেত্রে আমরা মূলত তিন রঙের কালি ব্যবহার করেই লিখে থাকি। নীল, কালো, লাল, এই তিন রকমের কালি লেখার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
কিন্তু এই খবর কি জানেন যে এই বিশ্বেই এমনও একটি দেশ রয়েছে যেখানকার মানুষ লাল কালির লেখা দেখলে ভীত-সন্ত্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়েন! আমরা আজ সেই খবরই দিতে চলেছি মজাদার অথচ চমকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞানে পরিপূর্ণ এই প্রতিবেদনে।
সাধারণত আমরা নীল বা কালো কালি দিয়েই লেখাজোখার কাজ বেশি করি। আমাদের দেশে এমন প্রচলন আছে যে বেশিরভাগ সময় শুভ কিছু লিখতে লাল কালির পেন ব্যবহার হয়।
এছাড়াও লাল কালি দিয়ে বিশেষ কিছু লেখা হয় বা শিক্ষকদের খাতা পর্যবেক্ষণের সময়ও এই পেন কাজে লাগে। অন্যদিকে, সরকারি কাজেও অনেক সময় লাল কালির পেন ব্যবহার করতে দেখা যায় কর্মীদের। মূলত লাল কালি চোখে সহজে ধরা পরে বলেই এমন ব্যবহার বলেই মনে করা হয়।
কিন্তু এই লাল কালিই একটি দেশে কার্যত মানুষের কাছে আতঙ্কের আর এক নাম। লাল কালির লেখা তারা একেবারেই ভালো চোখে নেন না। বরং লাল কালিতে লেখা দেখলে তারা প্রমাদ গুনতে শুরু করেন। ফলে সে দেশে লাল কালির পেন পাওয়াটাই দুষ্কর।
কেন লাল কালির পেনে এতো ভয়? দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ বিশ্বাস করেন লাল কালি দিয়ে কেবল মৃত মানুষের নাম লেখা যায়।
যদি জীবিত কারও নাম ঐ রং দিয়ে লেখা হয় তাহলে তার জীবনে মৃত্যু বা খারাপ কিছু আসন্ন। কোনো লেখাও তারা লাল কালি দিয়ে লেখা পছন্দ করেন না। কারণ লালকে তারা মৃত্যুর রং বলে মনে করেন।
এমনকি লাল কালির পেন ঐ দেশের শিক্ষকরাও ছাত্রছাত্রীদের খাতা দেখার জন্য ব্যবহার করেন না। সরকারি সিলমোহর বাদ দিলে লাল কালির ব্যবহার কেবল মৃত ব্যক্তির নাম লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়।
লাল রং ছবি আঁকা বা বাড়ি রং করা বা অন্য কাজে ব্যবহার হলেও লেখার জন্য লাল রং ব্যবহার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় হয়ই না। তাই দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘুরতে গেলে লাল কালির পেন থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
সূত্র: নিউজ ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।