জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস ডে, বাংলায় যেটি বড়দিন নামে পরিচিত। এই উৎসবের জনপ্রিয় চরিত্র সান্তা ক্লজ। দিনটিতে তার আগমন ঘটে আর ঝুলি থেকে শিশুদের তিনি উপহার দিয়ে বেড়ান।
খ্রিস্টানদের এই বিশ্বাস থেকে প্রতিবছর বড়দিনে অনেককে দেখা যায় সান্তা ক্লজ সাজতে। তারাও শিশুদের উপহার দিয়ে বেড়ান।
কিন্তু কে এই সান্তা ক্লজ? তার পোশাক লাল কেন? কেনই বা তিনি শিশুদের উপহার দিয়ে বেড়ান? টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আসুন জেনে নিই এর উত্তর।
যিশুখৃস্টের মৃত্যুর ২৮০ বছর পরে রোমের মাইরাতে জন্ম হয় সেন্ট নিকোলাসের। ছোটবেলায় তিনি বাবা-মাকে হারান। এরপর নিকোলাস ধর্মানুরাগী হয়ে পড়েন। তার জীবনের একমাত্র ভরসা ও বিশ্বাস হয়ে উঠে যিশুখৃস্ট।
ছোটবেলায় এতিম হয়ে যাওয়ায় গরিব শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন তিনি। সেই কারণে গরিব শিশুদের উপহার দিয়ে বেড়াতেন সেন্ট নিকোলাস। যখন রাত হয়ে আসত সে সময় নিজেকে আড়াল করে উপহার দিতেন তিনি, যাতে তাকে চেনা না যায়। পরবর্তীতে সেটি সব শিশুদের জন্য উপহার পাওয়ার জন্য উপলক্ষ হয়ে যায়।
বলা হয়ে থাকে, স্প্যানিশ সেন্ট থেকে সান্তা শব্দের উৎপত্তি আর নিকোলাস থেকে ক্লজ। সান্তা ক্লজ মানে ইংরেজি অভিধানে, ক্রিসমাসে যে সন্তপুরুষ শিশুদের উপহার দিয়ে বেড়ান।
বড়দিনে লাল পোশাকে সাদা দাড়িওয়ালা সান্তা ক্লজকে দেখে শিশুরাও উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। তবে সব সময় কিন্তু লাল পোশাকে দেখা যায়নি সান্তাকে। আগে বাদামীসহ অন্য রঙের পোশাকেও দেখা গিয়েছে তাকে। যার মধ্যে রয়েছে বেগুনি, সাদা এমনকি কালোও।
জানা যায়, সান্তার বর্তমান চেহারা তৈরি করেন থমাস নাস্ট নামে এক মার্কিন কার্টুনিস্ট। ১৮৮১ সালে হারপার উইকলি নামে একটি পত্রিকার জন্য লাল রঙের পোশাকে সান্তাকে আঁকেন তিনি। তবে অনেকে মনে করেন, জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপনে সান্তাকে প্রথম লাল রঙের পোশাকে দেখা যায়। যদিও সেটি ঠিক নয়। ১৯৩১ সালে কোকাকোলার ওই বিজ্ঞাপনের আগেই সান্তাকে প্রথম লাল পোশাকে এঁকেছিলেন থমাস।
সান্তাকে সবুজ পোশাকেও এঁকেছিলেন এই মার্কিন কার্টুনিস্ট। কিন্তু লাল পোশাকের সান্তাই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। শুরুতে সান্তার চেহারা ছিল খুবই ছোটখাটো। কারণ সব বাড়ির চিমনি দিয়ে তাকে উপহার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভেতরে ঢুকতে হতো। পরে সান্তার চেহারাকেও বড় করেন থমাস।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।