আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিম জং উনের নর্থ কোরিয়া প্রায়ই অস্বাভাবিক সব আইন প্রয়োগ করা হয় নাগরিকদের উপর। ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক জীবনেও প্রয়োগ করা হয় এসব আইন। এছাড়া বিশ্বের জনপ্রিয় ফ্যাশন এবং প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলোর উপর কিংবা ফ্যাশনেও ছড়িয়ে পড়ে নিষেধাজ্ঞা। এবার দেশটিতে নিষেদ্ধ হলো লাল রঙের লিপস্টিক।
সোমবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিজমের সাথে লাল রঙের ঐতিহাসিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হলো এটি।
নর্থ কোরিয়া লাল লিপস্টিক নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, এটিকে পুঁজিবাদের প্রতীক হিসেবে দেখে কিম জং উনের প্রশাসন, তারা এটিকে কমিউনিস্ট ধারণা নয় বলে উল্লেখ করে। প্রকৃতপক্ষে, নর্থ কোরিয়ায় ভারী মেকআপের উপর ভ্রুকুটি করা হয় এটি দ্বারা। আর এটিকে পশ্চিমা প্রভাবের চিহ্ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মূলত, লাল লিপস্টিক পরা নারীদের খুব আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, যার ফলে সরকার এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া অতিরিক্ত আকর্ষনীয় করে মেকআপ ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আইন অনুযায়ী নারীদের শুধুমাত্র ন্যূনতম মেকআপ পরতে দেওয়া হয় উত্তর কোরিয়ায়।
দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যক্তিগত জীবনে প্রসাধনী ছাড়াও এর বাইরে প্রসারিত রয়েছে পুঁজিবাদী মতাদর্শের সাথে সম্পর্কিত বহু পণ্যে। নীল জিন্স, বডি পিয়ার্সিং এবং নারীদের জন্য মুলেট এবং লম্বা চুলের মতো কিছু চুলের স্টাইলও নিষিদ্ধ রয়েছে দেশটিতে। সেখানে কেবল সরকার অনুমোদিত নির্ধারিত কিছু চুলের স্টাইল দিতে পারেন নাগরিকরা।
এসকল নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র রাষ্ট্রের আদর্শের জন্য নয়। এখানে মিশে আছে রাষ্ট্রপ্রধানের চাওয়া। যেমন, কিম জং এর সিগনেচার সুইপ্ট-ব্যাক হেয়ারস্টাইল শুধুমাত্র এই কারণে নিষিদ্ধ যে, তিনি চান না লোকেরা তাকে অনুলিপি করুক।
দেশের নাগরিক এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অনুসরণ করছে কিনা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাখা হয়েছে পুলিশ বাহিনীর একটি বিশেষ দল। যাদের বলা হয়, ফ্যাশন পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।