মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার খুব জোরালো কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। তেমনই এক অলৌকিক ব্যপার ঘটেছে সাম্প্রতিকালের সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানলের কবলে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের মালিবু এলাকায়। একের পর এক বাড়িঘর পুড়ে ছাই হওয়ার খবরের মাঝে এখন সকলের দৃষ্টি পড়েছে একটি মাত্র বাড়ির দিকে। ৯ মিলিয়ন ডলারের এই ম্যানশন হাউজটি যেন যুদ্ধের ময়দানে লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং বা শেষ বেঁচে থাকা যোদ্ধার মতো দাঁড়িয়ে আছে। চারিদিকের ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে এই বাড়িটির এভাবে টিকে থাকা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে উঠেছে সবাই।
ভাগ্যবান এই বাড়িটির ততোধিক ভাগ্যবান মালিকের নাম ডেভিড স্টাইনার। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা। তিন ছেলের বাবা এই সদালাপী ভদ্রলোক এখন মিডিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর তিনি ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সবাইকেই। এক্স এ টুইটও করেছেন ঘটনাটি নিয়ে। এই বাড়িটি তাদের পারিবারিক বাসস্থান ছিল না। তাই তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমার তো একটি প্রপার্টি পুড়েছে মাত্র, কত মানুষের তো বাড়ি পুড়ে গিয়েছে’।
কী এমন বিশেষত্ব আছে বাড়িটিতে যে তা পুড়ল না? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ৬৪ বছর বয়স্ক স্টাইনার একে অলৌকিক ঘটনাই বলছেন। তিনি বলেন, যখন স্থানীয় ঠিকাদার তাঁকে এই এলাকায় দাবানল ধেয়ে আসার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাঠান, তিনি তখন ধরেই নিয়েছিলেন এই বাড়িটি পুড়ে যাবে। আর এত ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে আশেপাশে সব বাড়ি পুড়ে যাওয়ার পরও এই ম্যানশনটির টিকে থাকা তাঁকেও সবার মতো অবাক করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাড়িটি ক্রুজ শিপের মতো করে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে তীব্র গতির বাতাস সইতে পারে তা।সিমেন্ট, বালি আর চুনাপাথরের চূর্ণ দিয়ে তৈরি স্টাক্কোর লেয়ার দেওয়া এই বাড়িতে। এটি কিছুটা হলেও আগুন সইতে পারে। আর পাথর ও অগ্নিরোধী ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হয়েছে এর ছাদ। সেই সঙ্গে ৫০ ফিট পাইলিং দেওয়া এতে। সব মিলিয়ে এমন শক্তিশালী কাঠামো বাঁচিয়ে দিতে পারে বাড়িটিকে, ধারণা করছেন অনেকে। তারপরেও এখানে এভাবে আগুন লাগতে পারে দাবানল ধেয়ে এসে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবে নি। তাই সেরকম প্রস্তুতির প্রশ্নই ওঠে না। তার মাঝেও মালিবুর এই বাড়িটি এভাবে বেঁচে যাওয়ার খবর এখন তাই আলোচনার তুঙ্গে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।