আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাময়িক সময়ের জন্য হলেও নিজের জায়গায় ফিরে এল লা নিনা। আর যখনই সে নিজের জায়গায় ফিরল তখনই প্রশান্ত মহাসাগরকে সে শীতল হাওয়া দিয়ে ভরিয়ে দিল। আবহবিদরা একে একটি ভাল দিক হিসাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন লা নিনা যদি স্বল্পস্থায়ী হয়ে থাকে তাহলেও অনেকটা শীতের আমেজ থাকবে।
এল নিনো যেভাবে নিজের কাজ ঠিকভাবে করেছে সেখানে লা নিনা তার কাজ ঠিকভাবে করবে এমনটাই মনে করেছিল সকলে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। নিজের গতিপথের তুলনায় উল্টোপথে গিয়েছে লা নিনা। ফলে শীতের বদলে এসেছে গরম। বদলে গিয়েছে তাপমাত্রা।
তবে এবার ফের একবার নিজের গতিপথ ধরে নিয়েছে লা নিনা। বলতে গেলে রেলগাড়ি যেন তার নিজের লাইনে ফিরে এসেছে। পরবর্তীকালে কী হবে সেটা জোর দিয়ে না বলা গেলেও লা নিনা যে শীতকে আরও কিছুদিন ধরে রাখবে সেটা বলা যায়। প্রশান্ত মহাসাগরকে শীতল বাতাসে ভরিয়ে দিয়েছে লা নিনা। ফলে গরম বাতাসকে এবার সে এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে। গোটা পৃথিবীর পরিবেশকে এক ধাক্কায় বদলে দিয়েছে লা নিনা।
এখানেই শেষ নয়, লা নিনার জেরে মধ্য এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর অনেকটা শীতল হয়েছে। কমেছে সেখানকার তাপমাত্রাও ফলে ১৩ জানুয়ারি থেকে ফের নতুন করে শীতের আমেজ ফিরবে। লা নিনার গতিপথ দেখতে নাসা তাকে স্যাটেলাইট থেকে নজরে রাখছে। মহাকাশে স্যান্টিনেল সিক্স মাইকেল ফ্রেলিচ স্যাটেলাইট সর্বদাই নজরে রাখছে লা নিনাকে। ফলে কোনদিকে তার গতি পরিবর্তিত হচ্ছে সেটা অতি সহজেই এখন সকলের নজরে থাকছে।
তবে নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লা নিনা তার নিজের পথে ফিরলেও এখনও সে শক্তিশালী নয়। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে শক্তি বাড়িয়ে শীতকে নতুন করে টেনে নিয়ে আসবে লা নিনা। সেখানে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে। যেভাবে গরমের শুকনো হাওয়া সকলকে ব্যস্ত করে দিয়েছিল সেখানে লা নিনার প্রভাবে ফের দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে শীত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।