জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ তে লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরা এ দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (৬ মে) প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সঙ্কট উত্তরণে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চরাঞ্চল, হাওর ও দুর্গম এলাকাসহ সারা বাংলাদেশের সকল শিশুর ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে শিক্ষক সংকট নিরসনে প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়োগ আজ সময়ের দাবি। মুজিববর্ষে প্যানেল গঠনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াই হবে বেকারত্ব মুক্তির প্রথম প্রয়াস।
বলা হয়েছে, এতে করে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে আসবে আমূল পরিবর্তন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান হবে, কেউ ক্লাস না পেয়ে ফিরে আসবে না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চাওয়া- মুজিববর্ষে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর বাংলা রিডিং পড়া শেখার স্বপ্ন পূরণ হবে। ২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের সকল শিশুর শতভাগ ভর্তি, ঝরে পড়া রোধ, শতভাগ শিক্ষার হার নির্ণয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এবং এটাই হোক মুজিব শতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ট কাজ বেকার মুক্তির ফসল।
সেখানে আরো বলা হয়েছে, সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনবল বাছাই করতে গিয়ে ২-৩ বছর পার করে দেয়ার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের সমস্যা থেকেই যায়। তাছাড়া রয়েছে ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, দুর্গম অঞ্চল ছেড়ে শিক্ষকদের শহরমুখী বদলির প্রবণতা, পিটিআই, ডিপিএডসহ প্রশিক্ষণ এবং বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় অফিসের কাজে প্রধান শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে দৌড়াদৌড়ি সঙ্কটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের সমন্বয়ে প্যানেলভুক্ত করে নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক সঙ্কট লাঘব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।