আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। তিনি এমন এক সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, যখন ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে ব্রিটেনের ক্ষমতার পালাবদলেও রাশিয়া এই পরিস্থিতি উত্তরণের কোনো আশা দেখছে না। সোমবার ক্রেমলিনের তরফ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে রুশ বিরোধীদের বিশ্বনেতাদের কাতারে শীর্ষে রেখেছিল রাশিয়া। লিজ ট্রাসের বেলাতেও ব্রিটেনের রুশ বিরোধী মনোভাবের নড়চড় তো হবেই না বরং আরও খারাপ হয়ে বলে এর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল রাশিয়া।
ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো পালাবদল আশা করছে কী না জিজ্ঞাসা করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক কিছুর আশা নেই।
তিনি বলেন, আমি মনে করি না আমরা ইতিবাচক কিছু আশা করতে পারি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন লিজ ট্রাস।
গত ৭ জুলাই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করার ঘোষণা শুরু করেন।
এরপরই শুরু হয় কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া। সর্বশেষ প্রক্রিয়ায় টিকে ছিলেন ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। এই প্রক্রিয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাজকে ভোট দেন।
সব প্রক্রিয়া শেষ করে অবশেষে লিজ ট্রাস কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাব ব্রাডি জানিয়েছেন, লিজ ট্রাস পেয়েছেন ৮১, ৩২৬ ভোট। অন্যদিকে সুনাক পেয়েছেন ৬০,৩৯৯ ভোট। সব সদস্যের মধ্যে ৮২.৬ ভাগ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।