জুমবাংলা ডেস্ক : লিবিয়ায় অপহরণকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মানব পাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ (ডিবি)।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার মুঠোফোন থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা ও আরও ১১ জন আহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়া ট্র্যাজেডিতে জড়িত ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে মামলা করেন এক ভুক্তভোগীর বাবা আবদুল মান্নান মুন্সি।
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন উদ্দিন বলেন, লিবিয়া ট্র্যাজেডির পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার এবং আঘাতে খুনের অভিযোগে হত্যা একটি মামলা করা হয়।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৪।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলা দুটি তদন্ত করবে ডিবি উত্তর বিভাগ।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, আলোড়িত করেছে পুরো বিশ্বকে। ওই ঘটনার পর তদন্ত ও অভিযানে নামে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বুধবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে সেন্টু শিকদার ও নার্গিস আক্তার নামে দুই মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও সিআইডি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি সূত্র জানিয়েছে, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সারাদেশে মামলা হয়েছে নয়টি। ওইসব মামলায় এখন বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার হলেও বেশিরভাগ মানবপাচারকারী পলাতক রয়েছেন।
পল্টনে সিআইডির করা মামলার পাশাপাশি অন্যান্য মামলাও সিআইডি ছায়া তদন্ত করছে। তদন্তে মানব পাচারকারী হিসেবে যাদের তথ্য উপাত্ত ও নাম উঠে আসছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট জারির পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে।
সিআইডির ওই সূত্রটি বলেছে, নিরীহ মানুষের জীবনের বিনিময় যে অর্থ-সম্পদ তারা করেছেন এই সম্পদ তারা ভোগ করতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে সিআইডি। বড় বড় যত সঙ্ঘবদ্ধ মানবপাচারকারী রয়েছে ইতিমধ্যে তাদের নাম আমরা সংগ্রহ ও ইনকোয়ারি শুরু করেছি। দেশি কিংবা বিদেশি যত প্রভাবশালী মানবপাচারকারী হোক না কেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।