আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে লুটপাট ও সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল। তিনি আন্দোলনকারীদের রাস্তায় বিক্ষোভ থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থী ও তরুণদের টানা আন্দোলনের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল। তাদের পদত্যাগের পর ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জেনারেল সিগদেল বলেন, ‘আমরা কঠিন সময় পার করছি। কিছু গোষ্ঠী এ সুযোগে লুটপাট, হামলা ও সরকারি-বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে সবাইকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে।’
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে কারফিউ জারি আছে। গত দুই দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই নতুন করে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে তরুণ-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। দুই দিনের মধ্যেই তা সহিংস রূপ নেয়। ৮ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক। পরদিন পার্লামেন্ট ও মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।
পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেন, ‘এরপরও কেউ লুটপাট, ভাঙচুর বা হামলায় জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব দাবি গণতান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।