আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লেজার টেকনোলজির তেমন ব্যবহার নেই। তবে ইন্ডাস্ট্রি, মেডিসিন, মিলিটারি এবং কাটিং টেকনোলজিতে লেজারের ব্যবহার রয়েছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র লেজার টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার জন্য।
লেজার লাইট এবং নরমাল আলোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। লেজার লাইট থেকে নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বের হয়ে থাকে। এজন্য এটি নির্দিষ্ট কালারের হয়ে থাকে। লেজার লাইট পাওয়ারফুল হয় বিদায় এটি চোখের ক্ষতি করার সামর্থ রাখে।
লেজার লাইট চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে না বরং এটি একটি জায়গায় ফোকাস করে রাখে। আইনস্টাইনের রিসার্চ থেকে রেডিয়েশন টেকনোলজির ধারণা আসে। ১৯৬০ সালে বিজ্ঞানী মাইমেনের হাত ধরে লেজার রশ্মির যাত্রা শুরু হয়।
ইলেকট্রন পরমাণুতে উপরের স্তরে যেতে পারে। কিন্তু সেখানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকতে পারে না। সেজন্য শক্তি নির্গত করে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এ শক্তি আলো বা তাপ শক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
মাইমেন এ রুবির পরমাণু লেজার টেকনোলজিতে ব্যবহার করা হয়। রুবি থেকে নির্গত ফোটনের জন্য ইলেকট্রন উচ্চ কক্ষপথের স্তর থেকে নিচের স্তরে চলে আসে। এরফলে একই রঙের আলো দেখতে পাওয়া যাবে।
আলো যাতে ছডিয়ে না যায় এবং নির্দিষ্ট দিকে ফোকাস করে রাখে সেজন্য দুই পাশে দুইটি আয়না ব্যবহার করেন মাইমেন। এর মধ্যে একটি আয়না পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটাতে পারে। প্রথম থেকে রুবির ব্যবহার করা হলেও পরবর্তী সময়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ব্যবহার বেশ বেড়ে যায়।
বর্তমানে নানা ধরনের লেজার লাইট প্রচলিত রয়েছে। যেমন শর্ট পালস লেজার, আলট্রা শর্ট পালস লেজার। ধাতু কাটার জন্য লেজার লাইটের অনেক ব্যবহার হয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবারে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় এদের ব্যবহার রয়েছে। প্রতিনিয়ত লেজারের উন্নতি ঘটানো হচ্ছে এবং এর ব্যবহারের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।