বর্তমানে তেল এবং চালের বাজার অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লেবু এবং মুরগির দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে রোযার সময় বাজার স্থিতিশীল থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ঢাকার কারওয়ান বাজারের চিত্র খুব একটা সুখবর নয়।

অন্যদিকে সয়াবির তেলের সংকট যেন কাটতে চাইছে না। তেলের তীব্র সংকটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রোজার আগে তেলের দাম আরো একবার বাড়ানোর প্রচেষ্ট করা হচ্ছে। বাজারে সিন্ডিকেট এখন আগের থেকে আরো বেশি শক্তিশালী।
এর ফলে কষ্ট পাচ্ছে সাধারন মানুষ। চালের বাজারে দরিদ্র মানুষের জন্য কোন শান্তি নেই। কোন ধরনের চালের দাম হ্রাস পায়নি। রমজানে চালের চাহিদা কম থাকবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাই আপাতত দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আপনি মিনিকেট চাল ক্রয় করতে চাইলে কেজিতে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা খরচ করতে হবে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে দশ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশি মুরগি ক্রয় করতে চাইলে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।
শবে বরাতে চাহিদা বেড়েছে গরুর মাংসেরও। এতে কোনো কোনো বাজারে কেজি ৫০ টাকা বেড়েছে দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আসন্ন রমজান ও সরবরাহ সংকট দাবি করে নতুন করে বাড়ছে লেবুর দাম। বর্তমানে আকার ও জাতভেদে প্রতি ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৮০ টাকা পর্যন্ত। আর এক হালি লেবুর জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।