লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে‘রসের কুটুমে’র ২টি প্রদর্শনী

‘রসের কুটুমে’র ২টি প্রদর্শনী

খেজুরের রস ও রস থেকে তৈরি গুড় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের চিরায়িত একটি ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে দেশের এই ঐতিহ্য বহন করে আসছে গুড় তৈরির শিল্পীরা। তারা রস দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে গুড় বানায়।

‘রসের কুটুমে’র ২টি প্রদর্শনী

যখন খেঁজুরের রস গাঢ় সোনালি রং নিয়ে গুড়ে রূপান্তরিত হয়, দেখতে সুন্দর লাগে। খেজুরের রস থেকে গুড় বানানোর পদ্ধতি বেশ নান্দনিক। এই গুড় বানাতে বা সংরক্ষণে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না।

এদিকে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এ গুড় তৈরির খুঁটিনাটি বিষয় প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁইয়ের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘রসের কুটুমে’।

আগামীকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে ৫টায় সিনেমা বক্স প্রযোজিত ‘রসের কুটুম’ এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। ‘রসের কুটুম’-এর দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে।

নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই বলেন, ‘খেজুরের গুড় তৈরির ইতিহাসকে ধরে রাখার তাগিদ অনুভব করলে গুড় তৈরির এই সনাতন পদ্ধতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই হবে। কারণ গুড় তৈরির জার্নিতে যে পরিশ্রম হয় তার প্রতিদান কারিগররা কখনোই পান না।’

তার কথায়, ‘খেজুরের গুড়ের গুণগত মান কিন্তু আকর্ষণীয়। খেঁজুরের রস ও গুড় বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এতে দেশ ও গুড়ের কারিগর উভয়ই উপকৃত হবে।’

নীল সাগরের পাড়ে মালদ্বীপে মধুর সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা

প্রসঙ্গত, দেশের নির্মাতাদের মধ্য লোকজ শিল্প নিয়ে যারা সিনেমা নির্মাণ করেন তাদের মধ্যে ঝুমুর আসমা জুঁই অন্যতম। এর আগে ২১তম ও ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুঁইয়ের নির্মিত ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’, ‘পালকি’ প্রশংসিত হয়। জুঁইয়ের উল্লেখযোগ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, ‘ভাস্কর্য ও মাটির ময়না’, ‘পুতুল পুরাণ’, ‘রথ যাত্রার বাকি ইতিহাস’ ইত্যাদি।