স্পোর্টস ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে তার অল-রাউন্ড রূপটা ফুটে উঠছিল না। গত পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৯ রানে আউট হলেও বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে তা পুষিয়ে দেন। তার ঘূর্ণিতেই দল হেসেখেলে বিশাল জয় পায়। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। ৭ উইকেট হারিয়ে প্রায় হারতে বসা দলকে জিতিয়েছেন সাকিব। নিজে অপরাজিত থেকেছেন ৯৬* রানে। যে কারণে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের চেয়েও আলোচনায় চলে এসেছে সাকিবের এমন ক্ল্যাসিক ইনিংস।
টাইগারদের জয়ের সাথে সাথে ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে আসা মুশফিকুর রহিম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেন, ‘ আলহামদুলিল্লাহ এবং এই সিরিজ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি আমার সতীর্থদের।’ এরপরেই মুশফিক লিখেছেন সেই আপ্তবাক্য ‘ফর্ম ইজ টেম্পরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মান্যান্ট।’ বাক্যটা যে সাকিবকে নিয়েই লেখা তার প্রমাণ পরের কথাগুলোয়, ‘আমি বুঝতে পারি না, সামান্য কয়েকবার ব্যর্থ হলেই লোকে সাকিবকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস কীভাবে পায়! সে একজন কিংবদন্তি এবং সে চিরকালই বাংলদেশের লিজেন্ড হয়েই থাকবে।’
তিন নম্বরে নেমে ২ বল কম ৪০ ওভার উইকেটে ছিলেন সাকিব। আজকের ম্যাচের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ সাকিবের সেঞ্চুরি না পাওয়া। এর আগেও একবার ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২* রানে অপরাজিত ছিলেন। দল জিতেছিল ৫ উইকেটে। এই দুটি ইনিংস তিন অংক ছুঁলে সাকিবের সেঞ্চুরি সংখ্যা হতো ১১টি। আপাতত তাকে ৯ সেঞ্চুরি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। নিঃসন্দেহে সাকিবের কাছে নিজের সেঞ্চুরির চেয়ে দলের জয়টাই বড় প্রাপ্তি।
https://www.facebook.com/MushfiqurOfficial/posts/355069775988640
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।