জুমবাংলা ডেস্ক: ‘লোল’ এবং ‘ওএমজি’ শব্দ দুটি বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। অবাক হওয়া কিংবা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে আমরা এই শব্দ দুটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, এ শব্দ দুটি আধুনিক প্রজন্মের হাত ধরে আসেনি। অতি প্রাচীন এ শব্দ দুটির ইতিহাস ও বয়স জানলে সত্যি আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না।
ওএমজি আর লোল শব্দ দুটি মূলত ওহ মাই গড এবং লটস অব লাভসের সংক্ষিপ্ত রূপ। ২০২২ সালে এই শব্দ দুটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে ১০৫ বছর পূর্ণ করে ফেলল।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ওএমজি শব্দের জনক ব্রিটিশ ফার্স্ট সি লড লর্ড ফিশার। ১৯১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উইন্সটন চার্চিলকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। সেখানেই এই শব্দবন্ধের প্রথম ব্যবহার করেন তিনি। চার্চিলের যাতে বুঝতে অসুবিধা না হয়, তাই ওএমজির পূর্ণাঙ্গ রূপও লিখে দেন চিঠিতে।
আর লোল শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়েছিল আশির দশকের শুরুর দিকে। কানাডার ক্যালগারিতে ওয়ায়নে পিয়ারসন নামের এক ছাত্র তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় এই শব্দ প্রথম ব্যবহার করে, যা এখনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় অট্টহাসি বোঝাতে এই শব্দ প্রায়ই ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম।
তবে তখনই কিন্তু এ শব্দের ব্যবহার এত জনপ্রিয় হয়নি। নেটদুনিয়ায় সোশ্যাল সাইটগুলোর কারণে এসএমএস ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ইমুজি স্টিকারের কারণে শব্দ দুটির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওএমজি শব্দের এত জনপ্রিয়তা যে, এই অ্যাব্রিভিয়েশনকে ব্যবহার করে ২০১২ সালে বলিউডে একটি ছবির নাম রাখা হয়। অনেক গানেও ব্যবহার করা হয় এই শর্ট ফর্ম দুটিকে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিহারে প্রধান শিক্ষিকাকে জুতাপেটা করেছেন ২ শিক্ষিকা, ভিডিও করছে ছাত্র
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।