আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিপুল এই পৃথিবীর কতটুকু আমরা জানি ! বিজ্ঞানীরা লোহিত সাগরের তলদেশে একটি “ডেডপুল” বা মৃত্যুকূপ আবিষ্কার করেছেন। এই পুলে যদি কোনো প্রাণী ভুলেও সাঁতার কাটে তার মৃত্যু অনিবার্য। পুলটির পরিমাপ ১ লক্ষ ৭ হাজার বর্গফুট যা ম্যানহাটন সিটির থেকেও আকারে বড়। লোহিত সাগরের উত্তরে একটি অভিযান চালানোর সময় মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই ডেডপুল আবিষ্কার করেছিলেন।
সমুদ্রের পৃষ্ঠের ১.১ মাইল গভীরে এটি অবস্থিত। পুলটি অক্সিজেন বিহীন এবং মারাত্মক উচ্চ-ঘনত্বের লবণের দ্রবণে পরিপূর্ণ যাকে ব্রাইন বলে । প্রধান গবেষক স্যাম পুরকিস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, লোহিত সাগরের তলদেশে এই বিরল ব্রাইন পুলে লবণের আধিক্যের জন্যই এই মৃত্যুকূপে একফোঁটাও অক্সিজেন নেই। অক্সিজেনের অভাবে কোনও প্রকার সামুদ্রিক জীবন ধারণের মতো পরিবেশ নেই কূপটিতে। তাই এই কূপের মধ্যে একবার পড়ে গেলে আর সাঁতার কাটতে হবে না, সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে সাক্ষাৎ মৃত্যু।
গবেষণা দলটি লোহিত সাগরের নিচে একটি রিমোট-কন্ট্রোলড আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল বা আরওভি (ROV) নামিয়েছিল। অধ্যাপক স্যাম পার্কিস বলেছেন, ‘সমুদ্রের তলদেশে এত গভীরে সাধারণত খুব বেশি প্রাণী থাকে না। তবে, ব্রাইন পুলগুলি একটি সমৃদ্ধ মরূদ্যানের মতো।
পুরু কার্পেট মতো বিভিন্ন জীবাণু থাকে, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। আর সেটাই অন্যান্য সকল সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্য খারাপ খবর হতে পারে।’
সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এর আগে গত ৩০ বছরে লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরের “কয়েক ডজন” মারাত্মক পুল উন্মোচন করেছিলেন। যাইহোক, এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের হতবাক করেছিল, কারণ পুলটি ভূমির খুব কাছাকাছি অবস্থিত। পূর্বে, লোহিত সাগরে অবস্থিত সবচেয়ে কাছের ব্রাইন পুলটি কমপক্ষে ১৫.৫ মাইল অফশোরে পাওয়া গিয়েছিল।গবেষকদের মতে, লোহিত সাগরে সর্বাধিক ব্রাইন পুল রয়েছে। এগুলি ২৩ মিলিয়ন বছর আগে জমা হওয়া খনিজগুলির দ্রবীভূত পকেট থেকে গঠিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন , এই মৃত্যুকূপ নিয়ে গবেষণা করে জানা যেতে পারে যে, কীভাবে লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে মহাসাগর তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া ওই লবণাক্ত পরিবেশে যে বিরাট সংখ্যক জীবাণু আবিষ্কার করেছেন তাঁরা, তা চরম পরিবেশে বেঁচে থাকা প্রাণীদের সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে সহায়তা করবে।
সূত্র : nypost.com
সুইমিংপুলে বিশাল গর্ত হয়ে মুহূর্তেই সব পানি উধাও, প্রাণ গেল একজনের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।