স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে অসাধারণ ফর্মে আছেন লিটন দাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ফর্ম টেনে এনেছেন টি-টোয়েন্টিতেও। এই ডানহাতি ব্যাটারের অর্ধশতক এবং আফিফের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৫৬ রান।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার ও ইয়াসির আলী রাব্বী।
তামিমের না খেলার পর থেকে ৭মবারের মতো ওপেনিং জুটি বদলিয়েও সফল হয়নি টিম টাইগার। পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনারকেই হারায় দল। মাত্র ১০ রানে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকির বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন ৫ বলে ২ রান করা নাঈম। এই বাহাতির খারাপ সময় লম্বাই হচ্ছে।
নাঈম ফিরলেও নিজের মতো করে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলেন অভিষিক্ত মুনিম। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেও এরপরে ব্যাটে-বলে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারে ৩৭ রান।
চারে নামা সাকিব ও পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ দুইজনেও ব্যর্থ হন। কায়েস আহমেদের বলে ৬ বলে ৫ রান করে ফেরেন সাকিব। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বিশাল ছয়ে দারুণ শুরুর আশ্বাস দেখালেও আযমতউল্লাহর বলে ৭ বলে ১০ রান করে ফেরেন।
ওয়ানডেতে ওপেনিং করলেও এদিন টি-টোয়েন্টিতে তিনে নেমে একপ্রান্তে সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন লিটন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৩ এবং আফিফের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ফারুকীর স্লোয়ারে ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে করেন ৬০ রান।
ছয়ে নামা আফিফ ২৪ বলে ২ চারে করেন ২৫ রান করে ওমরজাইয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এছাড়াও ইয়াসির (৮), মেহেদী (৫), শরীফুল (৪*), নাসুম (৩*) করেন।
আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ মাত্র ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৫ রান। এছাড়াও ফারুকী ২৭ এবং ওমরজাই ৩১ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।