ঘরে,ব্যালকনি বা ছাদে অনেকেই শখ করে গাছ লাগান। কিন্তু পুরো সপ্তাহ অফিসের কাজ, সংসারের চাপের কারণে অনেকেই গাছের পরিচর্যা করতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পানি ঢালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে গাছপালার স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে।
বাগান করতে হলে শুধু গাছে পানি দিলেই হবে না, এর জন্য দরকার বাড়তি পরিচর্যা। কাজের দিনে সেই সময়টা না পেলেও, ছুটির দিনে গাছের দেখভাল জরুরি। শখের বাগান সবুজ ও সুন্দর রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলা দরকার।
কীভাবে গাছের যত্ন নেবেন
১. নিয়মিত গাছে পানি দিন। তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ অতিরিক্ত পানি শিকড় পচিয়ে দিতে পারে। গরমের দিনে পানি একটু বেশি দিতে হতে পারে, কিন্তু বর্ষার সময় মাটি ভিজে থাকলে পানি দেওয়া বন্ধ করুন।
২. প্রতিটি গাছের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সূর্যের আলো নিশ্চিত করুন। গাছ ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন, আর রোদপ্রিয় গাছ খোলামেলা জায়গায় রাখুন।
৩. সার প্রয়োগ প্রাকৃতিক (যেমন: গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট) ব্যবহার করুন। মাসে একবার জৈব বা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারেন। তবে গাছের বয়স ও প্রকার অনুযায়ী সার দিন।
৪. কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ গাছে কোনো রোগ বা পোকা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। নিম তেল বা সাবান পানি স্প্রে করে প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় দূর করতে পারেন।
৫. গাছ ছাঁটাই করুন এবং নিয়মিত মরা পাতা, শাখা-প্রশাখা কেটে দিন। এতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হবে। মাটি মাঝে মাঝে খুঁচিয়ে দিন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
৬. নিয়মিত গাছগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। নতুন পাতা, ফুল, ফল আসছে কি না খেয়াল রাখুন। মাটির অবস্থা, গাছের রঙ বা বৃদ্ধিতে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
৭. স্থানীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের উপযোগী গাছ নির্বাচন করুন। যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে শখের বাগানকে সবসময় সুন্দর রাখা সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা করলে আপনার বাগান সবুজে ভরপুর ও প্রাণবন্ত থাকবে।
৮. ঘরের ভিতরে রাখা গাছ সাধারণত অল্প যত্ন, সূর্যালোকে বেড়ে ওঠে। তারপরও অন্তত ২-৩ ঘণ্টা এসব গাছ জানালার পাশে আলো-হাওয়ায় মধ্যে রাখা দরকার। যেদিন সময় পাবেন সেদিন গাছগুলি পরীক্ষা করে দেখে নিন, তাদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা। প্রয়োজনে গাছগুলোর অবস্থান বদল করে উপযুক্ত আলো-হাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. গাছের বেড়ে ওঠার পাশাপাশি কাটছাঁটও খুব জরুরি। ফুলগাছের ক্ষেত্রে কোন কাণ্ড, কুঁড়ি, শুকিয়ে যাওয়া ফুল কাটতে হবে, তা মাথায় রাখা দরকার। গাছে বেশি ফুল চাইলে এই পদ্ধতি খুব জরুরি।
১০. গাছের বেড়ে ওঠার জন্য খাবার লাগে। টবের বা গাছের গোড়ার মাটি মাঝেমধ্যে আলগা করে দিলে আলো, হাওয়া চলাচল ভালো হয়। প্রয়োজন মতো সার দেওয়ার দরকার পড়ে। গাছের খেয়াল রাখার সময় সার দিতে হবে কি না দেখে নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।