স্পোর্টস ডেস্ক : ক্ষমতার পালাবদলে আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছিল। যদিও তালেবান প্রথম থেকেই আশ্বাস দিয়েছিল, দেশের ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয়, আরও এগিয়ে নেবেন তারা।
এদিকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বুধবার (১৮ আগস্ট) একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায়, কাবুলে অনুশীলন শুরু করেছে আফগান ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখেই আফগানিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা রাজধানী কাবুলে অনুশীলন শুরু করেছেন। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শহর কাবুল। রাজধানী বলে এখানে তালেবানের ক্ষমতার বলয়ও বেশি। রাস্তায় রাস্তায় বসানো চেকপোস্ট। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে তালেবান শাসনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
তবে তাতে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি, ফলে স্বভাবতই ফিরেছে স্বস্তি। কাবুলেই ক্রিকেটাররা শুরু করেছেন অনুশীলন। এর আগে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি। তালেবান আগ্রাসনে ক্রিকেট অন্ধকারে তলিয়ে যাবে না বলে আশাবাদী আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের ক্রিকেটপ্রেমের কথাও জানান তিনি। শিনওয়ারি বলেন, ‘তালেবানরা ক্রিকেট ভালোবাসে। আমাদের কোনো কাজে নাক গলায় না তারা। সেই ১৯৯৬ সালের পর থেকে তালেবানের পৃষ্ঠপোষকতাতেই ক্রিকেট জেগে উঠেছে আফগানিস্তানে।’
বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার হিকামত হাসান জানান, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলব। প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমাদের অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ রয়েছে। তার জন্য ভেন্যু খুঁজছি। এটাই কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও কথা বলছি এই সিরিজের জন্য। দেখা যাক কী হয়। আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব। সেই সিরিজও হচ্ছে। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টও করতে চাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য।’
তার আগে দেশে থাকা পরিবার নিয়ে শঙ্কা-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছিলেন রশিদ খান। রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী দুজনেই এখন ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেডে খেলতে ব্যস্ত।
এই দুজনের সম্পর্কে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার বলেন, ক্রিকেটারদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কাবুল সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ক্রিকেটারদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য আফগান বোর্ড সবরকম সাহায্য করবে বলেই আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এর আগে বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশটির বিভিন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালেবান অগ্রযাত্রায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পুরোদমে ব্যাহত হয়। তখন আফগান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারাও ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি। দেশটির জনগণের দুশ্চিন্তা এখন শুধুই তালেবান নিয়ে। তালেবান অগ্রযাত্রার কারণে বন্ধ ছিল কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। যে কারণে দেশটির আসন্ন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল। যদিও আফগানরা বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে নিশ্চয়তাও দিয়েছে আইসিসিকে। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নজর রাখছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।