জুমবাংলা ডেস্ক: ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে আটলান্টিক মহাসাগরে যখন টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়, তখন কয়েক হাজার যাত্রীর জায়গা হয় সাগরের বরফ ঠান্ডা পানিতে। সেই সময়েই প্রায় দেড় হাজার যাত্রীর মৃত্যু হয়। তবে লৌকিকভাবে সেই রাতে প্রাণে বেঁচে যান বেশ কয়েকজন পর্যটক। এরপর থেকেই একের পর এক অলৌকিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। এমনকি ২০২৩ সালে এসেও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি নেকলেসের সন্ধান মিলেছে।
ডুবে যাওয়ার পর ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে নেকলেস সন্ধানের ঘটনা বেশ চমকপ্রদই বটে। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নেকলেসটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের মেগালোডন হাঙরের দাঁত দিয়ে তৈরি। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে এ অলঙ্কারের ছবি ধারণ করেছে গভীর সমুদ্র ম্যাপিং প্রতিষ্ঠান ম্যাগেলান। প্রথমবারের মতো থ্রিডি (ত্রিমাত্রিক) স্ক্যানের মাধ্যমে টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র তৈরির অংশ হিসেবে এ কাজ করা হয়েছে।
ম্যাগেলানের প্রধান নির্বাহী (চিফ এক্সিকিউটিভ) রিচার্ড পারকিনসন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে নেকলেস আবিষ্কারের ঘটনাটাকে শ্বাসরুদ্ধকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা চুক্তির কারণে নেকলেসটি স্পর্শ করা হয়নি। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত দলটি জানায়, চুক্তি অনুযায়ী টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রত্নবস্তু অপসারণে বিধিনিষেধ রয়েছে।
টাইটানিক সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ ছিল। এর প্রথম শ্রেণীর স্যুটগুলোর জন্য নির্ধারিত ছিল ১৭০০ ডলার থেকে ১৫০০ ডলার। স্যুটগুলোর সঙ্গে টার্কিশ বাথ এবং বিলাসবহুল খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল।
যে বরফের পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। তার সংকেত বেশ কয়েকবার পেয়েছিল জাহাজ। কিন্তু রেডিও অপারেটর ঘুমিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার সময় যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি জাহাজ কর্তৃপক্ষ।টাইটানিক দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রেকর্ড অনুসারে ৮৩২ যাত্রী ও ৬৮৫ ক্রু মিলে সর্বমোট ১৫০০ মানুষ প্রাণ হারান।
তবে যারা বেঁচে যান তাদের অধিকাংশই প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ছিলেন। ডুবে যাওয়ার সময় এতই ঠান্ডা ছিল যে লাইফ জ্যাকেটেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। আটলান্টিক সাগরের তাপমাত্রা সেদিন এতই কম ছিল যে মানুষ মিনিটের মধ্যে মারা যাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন জাগতে পারে, একটি বরফের টুকরা কীভাবে একটি মেটালকে কাটতে কিংবা ভাঙতে পারে। হ্যাঁ, আপনার ফ্রিজে রাখা বরফ দিয়ে হয়ত মেটাল কাটা সম্ভব নয়, কিন্তু এটা বরফের টুকরা ছিল না, বলা চলে আস্ত এক বরফের পাহাড় ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, সেই আইসবার্গের ওজন ছিল ১.৫ মিলিয়ন টন। আর আয়তনে একটি ফুটবল মাঠের সমান। যেটির বিশাল ধাক্কা টাইটানিক সামাল দিতে না পেরে ডুবে যায়।
১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে আবিষ্কৃত হয়। ১৫ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল এটি। তবে জাহাজের বেশিরভাগ অংশ আজও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
সবুজ শাড়িতে ফাঁকা রাস্তায় উদ্দাম ড্যান্স দিলো সুন্দরী যুবতী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।