জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলায় অন্তর নামে এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধ*র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে ওই কিশোরীর পরিবারকে। সালিশে শত মানুষের সামনে মেয়েটির কাছে প্রকাশ্যে ধ*র্ষণের বর্ণনা শোনা হয়েছে। বর্ণনা দেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার প্রায় সপ্তাহখানের পর বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি অন্তরকে গ্রে*ফতার করে সেফ হোমে পাঠিয়েছে। তবে প্রকাশ্যে ধর্ষ*ণের বর্ণনা নেওয়া ও এর ভিডিও ধারণের ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, মামলাটি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। একমাত্র আসামি বয়সে কিশোর হওয়ায় তাকে সেফ হোমে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৬ জুন উপজেলা সদরের থানাপাড়ার আমির আলীর ছেলে স্কুলছাত্র অন্তর ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধ*র্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান হোসেন ও যুবলীগ নেতা আল আমিনের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে কয়েকশো লোকের সামনে মেয়েটির কাছ থেকে ধ*র্ষণের বর্ণনা শোনা হয়। অভিযুক্ত অন্তরকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দিয়ে ভুক্তভোগীর আপত্তি সত্ত্বেও বৈঠক শেষ করা হয়।
এদিকে ধ*র্ষণের বর্ণনা দেওয়ার একটি ভিডিও এলাকায় বিভিন্নজনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে লোকলজ্জায় এবং ভয়ে গা ঢাকা দেয় ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মা। পরে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
এবিষয়ে পৌর কাউন্সিলর ইমরান হোসেন জানান, এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে সালিশ করেছে মেয়ের ভাই ও অন্যরা।
যুবলীগ নেতা আল আমিন বকুল জানান, তিনি সালিশে মেয়ের এক ফুপাতো ভাইকে হামলার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে সালিশ ও জনসম্মুখে ধ*র্ষণের বর্ণনা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।