জুমবাংলা ডেস্ক : দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। ওইদিন দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হবে। একই সময়ে সারাদেশেও বিক্ষোভ করবে দলটি।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে হত্যা করার জন্য বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তার মুক্তির জন্য সাংবিধানিকভাবে যত রকমের চেষ্টা করার আমরা সবই করছি। আইনগতভাবেও যত রকম পথ আছে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এটা আইনের মধ্যে নেই। সেজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখন পুরো ইচ্ছেটাই সরকারের হাতে। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের জন্য সরকারই দায়ী। এ ধরনের মামলায় ৭ দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। সাধারণ নাগরিকও ৭ দিনে জামিন পায়। কিন্তু ওনাকে দু’বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্যারোল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।