নিজস্ব প্রতিবেদক : শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে গ্রাহকের পছন্দের ব্যাংক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি। ৩৬ লক্ষ গ্রাহকের ৫২ হাজার পাঁচশত কোটি টাকার আমানত ও ৪৯ হাজার পাঁচশত কোটি টাকার বিনিয়োগ এ আস্থার চিত্রটাই প্রতিফলিত করে।
দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, রেমিটেন্স সংগ্রহ, ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি, সিএলআর, এসএলআর সংরক্ষণ, এডি রেশিও পরিপালনসহ ব্যাংকিংয়ের সবগুলো সূচকেই এ ব্যাংক সেরা অবস্থানে রয়েছে। ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন ও ২০২৫ সালের মার্চভিত্তিক অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়া ৩০ বছরের ব্যাংকিং পথচলায় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে একটি চেকও বাউন্স হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ কোনো আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেনি। গ্রাহককে উন্নত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি ব্যাংকটি এখন দেশের প্রধান শরীয়াহ্ পালনকারী ব্যাংক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
শরীয়াহ্ পরিপালনে একাগ্র নিষ্ঠা এবং গ্রাহকসেবায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের একটি আদর্শ ব্যাংকের রূপরেখা সৃষ্টি করেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়ন ও গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ব্যাংকের ‘গুড গভার্নেন্স’ বা কর্পোরেট সুুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের এই উদ্যোগের ফলে বর্তমানে ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্মের এই শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকটি একটি টেকসই উন্নœয়নের ধারায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
একই সাথে ব্যাংকটি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন নতুন অটোমেশন প্রযুক্তি সংযোজন করে চলেছে। এসব উদ্যোগে ব্যাংক পরিচালনায় গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গ্রাহকসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ব্যাংকটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্তভাবে অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থান ধরে রেখে সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিরতার কোনো প্রভাবই এ ব্যাংককে স্পর্শ করতে পারেনি। কর্পোরেট সুশাসন ও এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে গত বছর সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির পুরনো পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সমসাময়িক অনেকগুলো সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নাম।
তবে ব্যাংকটির পরিসংখ্যান ও গ্রাহক সেবার বাস্তবচিত্র একেবারেই ভিন্ন কথা বলছে। প্রথমত, এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের বিনিয়োগের ফাঁদে পড়েনি এই ব্যাংকটি। সর্বোপরি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ব্যাংকটি তার ছোট-বড় সব ধরনের গ্রাহকের সকল লেনদেন চাহিদা সময়মতো পূরণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সমসাময়িক ব্যাংকগুলো যেখানে গ্রাহকের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে এ ব্যাংক প্রতিনিয়তই সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরের চরম দুর্যোগ মুহূর্তেও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে একটিও চেক বাউন্স হয়নি বরং গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমান টাকা উত্তোলনের সুবিধা দিয়েছে ব্যাংকটি।
তারল্য সংকটে অনেক বড় বড় ব্যাংকও যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে, সেখানে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক কখনোই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা বা ধার নিতে হয়নি। সংকটকালে সেবা প্রদানের এ চিত্রই বলে দেয় ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তি অত্যন্ত সুদৃঢ় ও নিখুঁত।
বিগত কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারী, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার সংকট সহ দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বৈরি প্রেক্ষাপটেও এআইবি কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ীদের আস্থা ও বিশ্বাস ব্যাংকটিকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার শুরু থেকেই শরীয়াহ্ পরিপালনের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে ছিলো আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। দেশের সেরা উলামা-মাশায়াকদের নেতৃত্বে গঠিত শরীয়াহ্ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গ্রাহকদের নিকট ব্যাংকটি আজ দেশের প্রধান শরীয়াহ্ পালনকারী ব্যাংক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
একই সাথে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিশ্চিত করেছে সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা। এ অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশজুড়ে এ ব্যাংকের ২২৬টি শাখা, ৮৬টি উপশাখা, ৭৫০টি এজেন্ট আউটলেট, ২৩০টি এটিএম বুথের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০২৪ সালে ব্যাংকটির মুনাফার পরিমান ছিলো ৯৪৫ কোটি টাকা। পরিচালন মুনাফা অর্জনের দিক দিয়ে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ব্যাংকের ডিপোজিটের পরিমাণ ছিল ৪৭,৫৬৯ কোটি টাকা যেখানে ২০২২ সালে ডিপোজিট ছিল ৪৪,৩৩৬ কোটি টাকা। বর্তমানে ২০২৫ সালের মার্চে ডিপোজিট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২,২৬০ কোটি টাকা।
দীর্ঘ ৩০ বছরের পথ চলায় আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ঈঁংঃড়সবৎ বেজই প্রমাণ করে ব্যাংকটি কখনোই কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়ে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তথা সাধারণ মানুষের ব্যাংক হিসেবে গড়ে উঠেছে।
প্রায় ৩৬ লক্ষ গ্রাহকের ও ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে এগিয়ে চলা এই ব্যাংক দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। যেখানে বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৫ হাজার বিনিয়োগ গ্রাহক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে ছুটে চলেছে। বিশেষ করে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে ব্যাংকটি। বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে জামানতবিহীন বিনিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে।
বর্তমানে মার্চ-২০২৫ পর্যন্ত ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯,৭৩২ কোটি টাকা। যেখানে ২০২৩ সালে ছিল ৪৪,৬১৯ কোটি টাকা ও ২০২২ সালে ছিল ৪০,৬১৮ কোটি টাকা।
আমানত-বিনিয়োগের অনুপাত একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নির্দেশনা রয়েছে, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বরাবরই সেই নির্দেশনা পরিপালন করে আসছে। ২০২২ সালে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এ অনুপাত ছিলো ৯০.২৫% এবং ২০২৩ সালে ছিলো ৯১.৩৪%। ২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত-বিনিয়োগ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৯১.৫৫% যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া সীমা অর্থাৎ ৯২.০০% এর মধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বড় বড় ইসলামী ব্যাংকগুলোর লিকুইডিটি বা নগদ অর্থের সংকট দেখা দিলেও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে কখনোই এ সংকটে পড়তে হয়নি। ঈজজ ও ঝখজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। ২০২৫ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংকের ৭৩৩ কোটি টাকা ঈজজ ও ১৫৬৫ কোটি টাকা ঝখজ উদ্বৃত্ত ছিল।
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক শ্রেণীবিন্যাসিত বিনিয়োগ বা ক্লাসিফায়েড ইনভেস্টমেন্ট কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় এ পরিসংখ্যান আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে একটি শক্তিশালী ব্যাংক হিসেবেই প্রতীয়মান করে।
দেশের প্রধান রপ্তানি শিল্প -তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে এ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান, পাটকল, নৌ পরিবহন, সড়ক পরিবহন, যানবাহন, কোল্ড স্টোরেজ, অটো রাইস মিল ইত্যাদি অসংখ্য সফল প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
একটি নির্ভরশীল আধুনিক ব্যাংক হিসেবে শ্রেণী-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। এ আস্থার প্রমাণ রয়েছে ব্যাংকটির বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানেও। ২০২৪ সালে ব্যাংকের আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪,৩৮৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ২৬,৯৩২ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে রপ্তানির পরিমাণ ২৫,৫৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০,০৩৫ কোটি টাকা।
জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রাণশক্তি বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণে দেশের সেরা ব্যাংকগুলোর একটি এআইবি পিএলসি। ২০২৪ সালে ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিট্যান্স এসেছে ৯,০১৪ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স গ্রোথ ৪২.৯৮%।
নারী ক্ষমতায়ন ও নারীদের আর্থিক উন্নয়নে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এ ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পে দেশব্যাপী ২,৭৫০টি গ্রামের ৬১,০৫৮ জন নারী বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে এ ব্যাংক।
ব্যাংকের মোবাইল ফাইন্যান্স সেবা ‘ইসলামিক ওয়ালেট’ এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ১ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক উপকৃত হচ্ছেন। ব্যাংকের অনলাইনভিত্তিক অ্যাপ ‘আই ব্যাংকিং’ এর মাধ্যমে প্রতিদিন ৭০ হাজার লেনদেন হচ্ছে। ইসলামিক ওয়ালেট ও আই ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বাংলা কিউআর এর পেমেন্ট করা যায়। আর্থিক সক্ষমতা, সুশসান ও দূরদর্শীতায় এ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে পেয়েছে নানা পুরস্কার।
অর্থনৈতিক কর্মকা-ের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (সিএসআর) তথা সেবামূলক ও জনকল্যাণমুখী কর্মকা-ের জন্য সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সবার শীর্ষে রয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। ২০২৪ সালে ব্যাংক সিএসআর খাতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
একটি ব্যাংকের অর্থনৈতিক দৃঢ়তার ক্ষেত্রে ঈধঢ়রঃধষ ঃড় জরংশ-বিরমযঃবফ অংংবঃ জধঃরড় সংক্ষেপে ঈজঅজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ব্যাংকিং সেক্টরে একে ‘ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি রেশিও’ বলা হয়ে থাকে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি রেশিও ১২.৫১% ছিলো যা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট ইতিবাচক।
একটি তালিকাভূক্ত ব্যাংকের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাপকাঠি হলো পুঁজিবাজারে এর প্রদত্ত ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ। গত ৩ বছর ধরেই আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এর শেয়ারহোল্ডারদের ১৫% করে লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের স্থিতিশীল অগ্রগতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নজিরবিহীন বললেও অত্যুক্তি হবে না।
দীর্ঘ ৩০ বছরের ধারাবাহিকতায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঠিক কতটা দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ব্যাংকটি। ইসলামিক আর্থিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের মুক্তির সংগ্রামে আরও হাজার বছর এগিয়ে যাক এ সেবাধর্মী এ প্রতিষ্ঠানটি -সকলের সেই প্রত্যাশাই থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।