বিভাজনের মাধ্যমে মানুষের দেহের কোষ বাড়ে। কোষ বিভাজন দুই ধরনের। একটি মাইটোসিস ও মিয়োসিস। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি কোষ তার সব ডিএনএর অনুলিপি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার পর সাধারণত বিভক্ত হয়ে দুটি কোষ গঠন করে। প্রতিটি নতুন কোষে সব ডিএনএর পরিপূর্ণ অনুলিপি থাকে। এগুলো ২৩ জোড়া ক্রোমোজমের সমন্বয়ে গঠিত।
এই বিভাজনের ফলে দেহকোষের সংখ্যা বাড়ে। মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় জনন মাতৃকোষ বিভক্ত হয়ে জননকোষ (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু) তৈরি করে। কেন কোষ বিভাজিত হয়? কারণ, জন্মের পর মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে। এ জন্য কোষ বিভাজিত হতে থাকে। না হলে শরীর বাড়বে কীভাবে? তা ছাড়া সব সময় আমাদের শরীরের চামড়া বা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষয় হয়।
সেই ক্ষয় পূরণের জন্য কোষ বিভক্ত হতে থাকে। তবে দেহের কোন অঙ্গের কোষ কতটা বিভক্ত হবে, তার সংকেত আগে থেকেই ডিএনএতে থাকে। যেমন আমার আঙুলগুলো কত বড় হবে, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আঙুলের কোষ বিভাজিত হবে। নির্দিষ্ট সীমায় এসে আর বিভক্ত হবে না। কিন্তু কোনো কারণে ক্ষয় হলে নতুন কোষ তৈরি হবে। এছাড়া ত্বকের কোথাও কেটে গেলেও তা পূরণের জন্য কোষ বিভাজন হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।