জুমবাংলা ডেস্ক : শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। অথচ নির্দ্বিধায় পরিচালনা করছেন নিজের ওষুধের দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের ছাটগাও এলাকায়। করোনা পজেটিভ হওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই ফার্মেসি খুলে বসেছেন মো: শফিক নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী। তার ওষুধের দোকানটি জিনজিরা ইউনিয়নের ছাটগাও এলাকায়।
এলাকার সাজেদা হাসপাতালের সামনে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, সাজেদা হাসপাতালের পাশেই শফিক ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান চালাচ্ছেন মো: শফিক। আশপাশের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের কয়েকদিন আগে দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ১ তারিখ থেকে দোকানটি পুনরায় চালু করা হয়, মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে কেন বন্ধ করা ছিল তারা বলতে পারেন না। খবর নিয়ে জানা যায়, ২১ মে করোনা পজেটিভ হন মো. শফিক । কিছুদিন আগে তার স্ত্রীরও করোনা পজিটিভ আসে। এরপর ২২ তারিখ থেকে দোকান বন্ধ রাখার পর আবার ১ জুন থেকে দোকান চালু করেন তিনি। সাধারণত করোনা পজিটিভ হওয়ার ১৪ দিন পর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করাতে হয়। এর সাতদিন পর তৃতীয়বার পরীক্ষা করাতে হয়। এরপর চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে বের হওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে মো. শফিকের সঙ্গে কথা হলে প্রথমে তিনি বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমার নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলা হয়েছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, মো. শফিকের দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষাই করানোই হয়নি। তাকে কিছু বলা হয়নি। পরবর্তীতে মো. শফিক বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান, করোনা পজেটিভ হলে অন্তত ১৪ দিন তো অবশ্যই বাসায় থাকতে হবে। এবং দ্বিতীয় বার টেস্ট করিয়ে রেজাল্ট নেগেটিভ আসার আগে বের হওয়া যাবে না। যেহেতু তিনি আইন অমান্য করেছেন তার বিরুদ্ধে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।