জুমবাংলা ডেস্ক : কৃষক বেলাল হোসেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের কেবলের ভিটা এলাকার বাসিন্দা। লাভের আশায় এবার আগাম শসার আবাদ করেছিলেন। ফলনও বাম্পার হয়েছে। কিন্তু বাজারে চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। নিরুপায় হয়ে ১৬০ টাকা মণ ধরে বিক্রি করছেন শসা। এতে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৪ টাকা। তবুও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
শসা চাষি বেলাল হোসেন বলেন, লাভের আশায় দেড় বিঘা জমিতে আগাম শসার আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু শীতে মানুষ শসা কম খাওয়ায় বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। চাহিদা কম থাকায় পাইকাররাও শসা তেমন একটা কিনছেন না।
বেলাল হোসেন বলেন, ১০০ টাকা মণ দর তুলেছিলাম, তবুও পাইকাররা নিচ্ছিল না। উপায় না পেয়ে দিন শেষে ৪ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করছি। তবুও ক্রেতার সাড়া মিলছে না। কিছু বিক্রি করেছি। বাকিগুলো বিক্রি না হলে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে হবে। কয়েকদিন আগেও ৫০০-৬০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি করেছি।
কৃষক বেলাল হোসেনের মতো একই পরিস্থিতির শিকার ওই হাটের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আজ এক মণ শসা ২০০ টাকায় স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে কিনে দোকানে বসেছিলাম। বাজারে চাহিদা না থাকায় ৬-৭ টাকা কেজি দরে দিনে বিক্রি করলেও শেষ বেলায় পাঁচ টাকা দর ধরেও ক্রেতা মিলছে না।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়েছে। তবে হেক্টরপ্রতি জমিতে আগাম গড়ে ১৫ মেট্রিক টন শসার চাষ হয়েছে। এতে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, কুড়িগ্রামে কৃষকরা মৌসুমি শসার চাষ শুরু করেছেন। যারা শসা বিক্রি করছেন সেগুলো আগাম চাষ করা। তবে ওই এলাকার কৃষকরা হয়তোবা সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় কম দামে বিক্রি করছে। বিষয়টি শহরের সবজি বিক্রেতারা জানতে পারলে ওই কৃষকদের কম দামে বিক্রি করতে হতো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।