জুমবাংলা ডেস্ক: নড়াইলে শসার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক। সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের শসা বাজার দেশের অন্যতম বড় শসার বাজার হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতিদিন বসে শসার বাজার। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শসা এই বাজার থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শসা ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
জানা যায়, সারাবছর নড়াইলের অসংখ্য কৃষক তাদের জমিতে, ঘেরের পাড়ে ও পতিত জমিতে শসার চাষ করে থাকেন। সদর উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের কৃষকরা বিছালী ইউনিয়েনের এই বাজারে শসা নিয়ে আসেন। প্রতিদিন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে ভোর থেকেই এই বাজার শুরু হয়। প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার শসা বিক্রি হয় বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার আগেই কৃষক ও ক্রেতারা বাজারে আসতে শুরু করে। প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে পুরোদমে বাজার শুরু হয়। নড়াইল ছাড়াও বিভিন্ন জেলার পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজারে আসেন শসা সংগ্রহ করতে। জেলার কৃষকদের উৎপাদিত শসা এই বাজার হয়ে চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে।
মির্জাপুর গ্রামের কৃষক আদিত্য বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ২ বিঘা জমিতে শসার চাষ করেছি। শসা চাষে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকার শসা বিক্রি করেছি। এতে আমি অনেক লাভবান হতে পেরেছি।
আদিত্য বিশ্বাস সহ এই জেলার প্রায় হাজার হাজার কৃষক শসা চাষে লাভবান হয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে নড়াইলে ১৭৫ হেক্টর জমিতে শসা ও ক্ষীরার চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে শসার আবাদ করা হচ্ছে। জমি থেকে শসা তোলা পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে চলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নড়াইলের উপপরিচালক দীপক রায় বলেন, নড়াইলের মাটিতে শসা সহ বিভিন্ন সবজির ভালো ফলন হয়। কৃষকরা নিজেদের চাষাবাদের জমির পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে ও বাড়ির আশেপাশে শসা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এই জেলায় দিন দিন শসা চাষির সংখ্যা বাড়ছে।
পবিত্র রমজানের আগে যে ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।