জুমবাংলা ডেস্ক : ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান নেওয়ার পর এবার সেই শস্য কাটার উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল। সেদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটতে এবং একই সাথে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাওয়া শস্যচিত্রে ধান কাটতে বগুড়া যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
২৬ এপ্রিল ধান কাটা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, উদ্বোধন করবেন ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে চীন থেকে আনা ডিপ ভায়োলেট রঙের হাইব্রিড ও দেশের ডিপ গ্রিন ধানের হাইব্রিড চারা রোপণ করা হয়। উচ্চ ফলনশীল দুই ধরনের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ শস্যচিত্রের জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে।
ধানের গাছ ছোট অবস্থায় উঁচু থেকে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলার পর বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটে উঠতে দেখা যায়। ধান চারা যতই বড় হয়েছে ততটাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটে উঠেছে। গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের আগেই ১৬ মার্চ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘শস্যচিত্র’ হিসেবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান লাভ করে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর আয়তন ছিল ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪শ’ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৩শ’ মিটার। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেজ বুকে স্থান পেয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের জন্য। প্রতিদিন শত শত মানুষ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখতে প্রকল্প এলাকায় ভিড় করছেন।
গাঢ় বেগুনীগাছে বেগুনী ও সবুজ ধানগাছে সোনালী রঙের ধান শীষে ভরে উঠেছে। শীষগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। পুরো ধানের মাঠ বাতাসে দুলছে উপর থেকে দেখলে মনে হবে বঙ্গবন্ধুর চিত্রটিও দুলছে। রোদ পড়ে চকচক করছে ধানের শীষগুলো। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর এবার ধান কাটার সময় হয়ে পড়েছে।
বিশ্বরেকর্ডে স্থান করে নিয়ে ইতিহাস গড়া বঙ্গবন্ধুর চিত্রটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র। বিএনসিসি ও কৃষিবিদদের নিপুণ কারুকাজে তৈরি শস্য চিত্রের বিশাল ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু। ধানকাটার পর সেগুলোর একটি অংশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং বাকি অংশ কৃষক ও কৃষক সংগঠনের মাঝে শুভেচ্ছা স্বরূপ বিতরণ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুরু থেকেই আমাদের পরামর্শ দিয়ে সাহস যুগিয়েছিলেন বলেই এই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে আমরা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি পেয়েছি। এই অর্জন বাঙালি জাতির। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এ অর্জন মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমরা আগামী ২৬ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটবো এবং শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু উৎসবের ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবো।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।