গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার সাথে যোগাযোগ সহজিকরণের লক্ষ্যে নির্মিত হয় শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু। সেতুর এপারে কালীগঞ্জ আর ওপারে পলাশ। কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল সেতুর ঘোড়াশাল অংশে অবৈধ সিনএজি স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে।
ওই মহলটি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন ধরেই করছে এ চাঁদাবাজি। আর চাঁদার টাকা সংগ্রহের জন্য ঘোড়াশাল অংশে সেতুর ওপর নির্মাণ করেছে একটি ঘরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু দিয়ে এই সড়ক হয়ে ঢাকা থেকে নরসিংদী, ভৈরব, বি-বাড়ীয়া ও সিলেটে শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড থাকার কারণে এই সড়ক প্রায়ই ছোটবড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই স্ট্যান্টে প্রতিদিন প্রায় তিন শতাধিক সিএনজি আসা-যাওয়া করে। টঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি সিএনজি এই সেতু অতিক্রম করলেই চালককে গুনতে হয় ৫০ টাকা চাঁদা। তবে চাঁদা না দিলে চাঁদা আদায়কারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ চালকদের। কেড়ে নেওয়া হয় গাড়ীর চাবি। তবে অভিযোগ আছে স্ট্যান্টের বাইরেও কোন সিএনজি সেতু ও স্ট্যান্ট অতিক্রম করে যেতে চাইলে তাকেও দিতে হয় চাঁদা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, লাঠি হাতে এক যুবক সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বিভিন্ন সিএনজি থেকে ৩০-৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে । টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে ওই যুবক জানায়, সে এই স্ট্যান্ডের টাকা আদায় করছে। প্রতিদিন ৩ ঘন্টা করে সে এখানে ডিউটি করে। বিনিময়ে ৫ শত থেকে হাজার টাকা মিলে তার হাজিরা। স্ট্যান্ড পরিচালনায় কে বা কারা জানাতে চাইলে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক জানায়, আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি বেশকিছু দিন আগে এই সিএনজি স্ট্যান্ডটি বসায়।
তবে এ ব্যাপারে আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার জন্য এখানে স্ট্যান্ড দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালকদের সিরিয়াল দেওয়ার জন্য কিছু চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। চাঁদার টাকা কি করা হয়? জানতে চাইলে তিনি জানান, এই টাকার কিছু অংশ বিভিন্ন মহলে খরচ করা হয়। যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়। আর বাকি টাকা স্ট্যান্ড বাবদ খরচ করা হয়।
ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র শরীফুল হক শরীফ জানান, সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ডটি সম্পুর্ণ অবৈধ। স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করার জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, পলাশে কোনও অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।