বিনোদন ডেস্ক: অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী থেকে এবার হলেন প্রযোজক। পেয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান। নির্মাণ করবেন ‘লাল শাড়ি’ শিরোনামের একটি ছবি। নির্মাতা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত অপু বিশ্বাস। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছবিসহ ব্যক্তিগত নানান বিষয়ে কথা বলেছেন এই চিত্রনায়িকা। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
অভিনেত্রী থেকে নির্মাতা অনুভূতি কেমন?
আমি নিজেকে এ ব্যাপারে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করে আমার ওপর চলচ্চিত্রের মতো একটি প্রধান গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারি সহযোগিতার পাশে আবদ্ধ করেছেন। আমি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই নির্মাণে আমার প্রথম পথচলা শুরু করতে যাচ্ছি।
অনেকে বলছেন ছবি নির্মাণে অপুর সরকারি অনুদানের প্রয়োজন ছিল না, নিজের অর্থেই হতো, কী বলবেন?
কথাটা আসলে ঠিক নয়, চলচ্চিত্র শিল্পে আমি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত একজন দর্শক গ্রহণযোগ্য শিল্পী। আমার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে আমি এই শিল্পকে কম বেশি ভালো কাজ দিতে চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। তাই সরকারের কাছে আমার একটু হলেও আবদার আছে। সরকারি অর্থে ছবি নির্মাণ করলে সেই ছবির গল্পে অন্যরকম স্বাতন্ত্র্যবোধ থাকে। দেশের মাটির গন্ধ থাকে। দেশের প্রতি নির্মাতার একটি দায়িত্ব বোধ থাকে। এমন অনেক ভাবনা থেকেই সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলাম।
অভিনয়ে সফল হলেন, এবার নির্মাণে কেমন মুন্শিয়ানা দেখাতে পারবেন বলে মনে করছেন?
চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান পাওয়া মানে কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যাওয়া, আরও অনুপ্রাণিত হওয়া। এখন একজন নির্মাতা হিসেবে নিজেকে বলব, ‘দেশ তোমাকে একটি গুরুদায়িত্ব দিয়েছে, তুমি এই দায়িত্ব পালনে তোমার শতভাগ ডেডিকেশন বাস্তবায়ন কর।’ আসলে এই বোধ থেকে যত্ন নিয়ে দেশের জন্য একটি সমৃদ্ধ কাজ উপহার দিতে চাই।
নিজেকে এখন প্রযোজক বা নির্মাতা হিসেবে ভাবার চেয়েও আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকার যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে দেশকে জনগণের সামনে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এটি হচ্ছে আমার জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। মানসম্মত কাজ দিয়ে সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে চাই।
ছবির নাম ‘লাল শাড়ি’ কেন?
এর অর্থ এখনই বলতে চাই না। কারণ আমি জানি অপেক্ষায় মায়া বাড়ে, প্রেমে পূর্ণতা আসে, তাই আমার প্রিয় দর্শকদের কাছে আমার ছবির গল্পের বিষয়টি সাসপেন্স হিসেবে রাখতে চাই। এতে আমার ছবির প্রতি তাদের মায়া ও প্রেম অবশ্যই বাড়বে।
ছবিটির নির্মাণ কাজ কখন শুরু হচ্ছে?
এ বছরই শুটিং শুরু করব। এখন ছবিটির পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস প্রি প্রোডাকশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এ বছরই ছবির নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবার অন্য প্রসঙ্গ, আগামী দিনগুলো কীভাবে সাজাতে চান?
সৃষ্টিকর্তা সব অবস্থায় সব সময় আমাকে ভালো রেখেছেন, এ জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। এখন এবং আগামীতে তিনটি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। এই তিন কাজ হচ্ছে জিম করে নিজের বডি ফিটনেস ঠিক রাখা, আদরের ধন একমাত্র পুত্র জয়কে সঠিক টেককেয়ার করে তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা, অভিনয় ও নির্মাণে দেশ এবং জাতিকে সমৃদ্ধ কাজ উপহার দেওয়া।
আপনার সাবেক স্বামী নায়ক শাকিব খান আগামী বছর বিয়ে করবে বলে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কী?
বাহ্, এটা তো অবশ্যই সুখবর, সে বিয়ে করবে আর আমরা সবাই তার বিয়ের আনন্দ নিয়ে মেতে উঠব। এটাই তো চাই। শাকিবের বিয়েতে আমি আর জয় মহাআনন্দ করব।
শাকিব তো বিয়ে করবে আর আপনার বিয়ে?
আমিও করব, জীবন তো আর একাকী চলে না। তবে এখনই নয়, হাতে অনেক কাজ জমা আছে, সব দায়িত্ব শেষ করে, এক সময় আদর্শবান ও কেয়ারিং একজন মানুষ খুঁজে নিয়ে তার গলায় ভালোবাসার মালা পরাতে চাই। আজীবন সুখ আর শান্তির বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। আসলে জীবন হচ্ছে একটা যন্ত্র-
যতক্ষণ ওটা নড়াচড়া করে ততক্ষণই বুঝতে হবে তাতে প্রাণ আছে। যখন ওটা থেমে যাবে তখনই বুঝতে হবে তার মরণ হয়েছে। আমি জীবন-যন্ত্রটাকে সহজে মরতে দিতে চাই না।
ছেঁড়া জিন্সে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন উর্বশী, এয়ারপোর্ট লুকে ভাইরাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।