বিনোদন ডেস্ক: পেশা ও ব্যক্তি দুই জীবনেই সংকটাপন্ন সময় পার করছেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান। একদিকে নতুন সিনেমার খবর নেই, অন্যদিকে অপু-বুবলীর মধ্যকার অন্তর্জাল যুদ্ধ। এর মধ্যে আবার সম্প্রতি যোগ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া কাণ্ড।
এতসব বিতর্ক-সমালোচনার ঝড় সামলেও ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা স্বস্তির মুহূর্ত কাটালেন শাকিব খান। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে পারিবারিক আয়োজনে আনন্দঘন উদযাপনে অংশ নিয়েছেন তিনি। সে উদযাপন ছিলো শাকিবের দ্বিতীয় সংসারের পুত্র শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন উপলক্ষে।
এদিন ফেসবুকে বীরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার বাবা ও মা (শবনম বুবলী) দুজনেই। এরপর রাতে শাকিবের গুলশান ২ নম্বরের বাসায় ঘরোয়া আয়োজনে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। সেখানে বীরকে নিয়ে হাজির হন বুবলী। এছাড়াও শাকিবের বাবা, মা, ভগ্নীপতি, বোনের ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে মেতে ওঠেন ছোট্ট বীরের চতুর্থ জন্মদিন উদযাপনে।
ওই মুহূর্তের কয়েকটি ছবি ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন বুবলী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘পরিবারের মূল্যবান কিছু মুহূর্ত’।
শাকিব-বুবলীকে একসঙ্গে দেখা একটু বিশেষ ঘটনা তো বটে। কেননা তাদের বিয়ে-সন্তানের খবর যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছিলো। ওই সময় শাকিব স্পষ্টভাবেই বলেছেন, বুবলী তার জীবনে অতীত। তার সঙ্গে সম্পর্ক কিংবা যোগাযোগ কিছু নেই। ফলে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন চাউর হয়।
সেই গুঞ্জনের আড়ালে কাগজ-কলমে তারা এখনও স্বামী-স্ত্রী কিনা, তা ধোঁয়াশায় রয়েছে। তবে পারিবারিক আয়োজনে তাদের এমন যৌথ উপস্থিতি ভক্তদের মনে নিঃসন্দেহে কিছুটা হলেও আনন্দ দিচ্ছে। যার নজির দেখা যায় বুবলীর পোস্টের কমেন্ট বক্সে। বীরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অনেকেই এই জুটির প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
জন্মদিনে ছেলে বীরকে একটি লাল গাড়িও উপহার দিয়েছেন শাকিব খান। রাস্তায় চলাচলের মতো না হলেও ঘরে দিব্যি ঘুরে-বেড়াতে পারে সেটি। আর সেই গাড়িতে বসেই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন বুবলী ও বীর।
উল্লেখ্য, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। এরপর তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান বীরের জন্ম হয় ২০২০ সালের ২১ মার্চ।
অন্যদিকে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিবের বিয়ে হয়েছিলো ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। এই সংসারের পুত্র আব্রাহাম খান জয়ের জন্ম হয়েছিলো ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।