আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শান্তি ফেরাতে যত দিন প্রয়োজন ততদিন হামলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর আনাদুলো এজেন্সি’র।
গাজা উপত্যকায় দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বর্বর গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ২২০ জন ফিলিস্তিনির। নিহতদের মধ্যে শিশু আছে ৬৩ জন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় হাজার।
এসব হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলি হামলায় হামাসের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ‘অপ্রত্যাশিত আঘাতের’ মুখোমুখি হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যতদিন প্রয়োজন হামলা চলবে।
জানা যায়, চলমান ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয় সংস্থার মুখপাত্র জেনস লার্ক জানিয়েছেন, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮টি স্কুলে প্রায় ৪৭ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ১৩২টি ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৩১৬টি ভবনের ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি। এসব ভবনের মধ্যে ছয়টি হাসপাতাল ও ৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
গাজায় সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও পানির। কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সেখানে মানবিক তহবিলের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এক টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানকার বাড়িঘর ও জরুরি স্থাপনাগুলো তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত দ্রুত মানবিক তহবিল গঠন করে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।