জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপি হওয়ার পথ ধরে এগিয়েছেন মন্ত্রিত্বের পথে, আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে, অজস্র অপকর্মের মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক, তার স্ত্রী শাবানা মালেক এবং ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র মিলে একটি বিশাল রাক্ষসী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার ফুফাতো ভাইসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও আত্মীয়স্বজন ছিলেন, যারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। এরপর থেকেই তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে।
স্ত্রী শাবানা মালেক মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। প্রথমে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকারকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হলেও পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, তার ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশি সুমন ও ইরাদ কৌরাইশি ইমনের মাধ্যমে অবৈধ বালু ব্যবসা এবং জমি দখলের মতো কার্যক্রম চালায়।
এমনকি সরকারি হাসপাতালে নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিতেও অভিযোগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।