জুমবাংলা ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গেস্ট হাউজে বসবাস করা একমাত্র বিদেশি শিক্ষার্থী মাইজু আন্নিকা হেক্কিনেনের লকার থেকে ১০০ ও ৩০০ ইউরো চুরির ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মাইজু।
১২ জানুয়ারি, রোববার তিনি বলেন, গত বছরের ১০ জুন গেস্ট হাউজে তার রুমের লকার থেকে ১০০ ডলার এবং পরে ১৩ সেপ্টেম্বর ৩০০ ইউরো চুরি হয়, যা বাংলাদেশি প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো।
মাইজু বলেন, একজন স্টাফ নিয়মিত আমার খোঁজ নিতো। একজন কুক ও একজন ক্লিনারও আসতো। রুমের এক কপি চাবি গেস্ট হাউজের অফিসে জমা ছিল। রুমে না থাকা অবস্থায়ও ওই তিনজন অতিরিক্ত চাবি দিয়ে রুমে যাওয়া-আসা করতো।
আমার রুমের লকারের চাবি সবসময় আমার এক ব্যাগে রাখা থাকতো। এছাড়া এর আগেও গেস্ট হাউজের একজন গার্ড আমার সঙ্গে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতো, বিষয়টি প্রক্টরকে অবহিত করলে তিনি এর ব্যবস্থা নেন।
শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদেশী শিক্ষার্থীর টাকা চুরির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাইনি। তবে আমি নিজেও খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।
উল্লেখ্য, মাইজু আন্নিকা হেক্কিনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর তৃতীয় সেমিস্টারের (থিসিস) শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে ফিনল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। হলের খাবার, পড়াশোনাসহ অন্যান্য সমস্যা থাকায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে তার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।