জুমবাংলা ডেস্ক: ক্যাম্পাসে কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারী কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আর্কিটেকচার বিভাগের এক শিক্ষার্থী, একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান, ফ্লাক্সে করে চা বিক্রেতা, ক্যান্টিনের পরিচালকের বৃদ্ধ বাবাসহ মোট ৫ জন কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। কুকুরের কামড়ে জলাতংকের সংক্রমণের ভয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অভিযোগ, করোনার সময় থেকেই ক্যাম্পাসের কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি কুকুরের বাচ্চাও হয়েছে। এগুলো নিয়মিত ক্যাম্পাসের রাস্তার উপর যাওয়া আসা করছে। যাকে তাকে কামড়ে দিচ্ছে। এটি এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘কুকুর সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়। এজন্য প্রাণীগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থান করে। কুকুরগুলো নিধনও করা যাবে না। আমরা উভয় সংকটে আছি। নিরাপত্তা প্রহরীদের নির্দেশ দিয়েছি, কুকুরগুলোকে দেখলে যাতে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীতেও বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন। একটা সময় কুকুর নিধন করা যেতো, তবে বতর্মান এ নিয়ে পরিবেশবাদীদের আপত্তির কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে নগর ভবনও চিন্তায় রয়েছে। কুকুরের প্রাণহানী না ঘটিয়ে কিভাবে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।