জুমবাংলা ডেস্ক : যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ১০ বছরে ১৭ হাজার কোটি টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন। টেন্ডার বাণিজ্যের কমিশন হিসেবে নিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি কাজ বাগিয়ে দিয়ে ২ থেকে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন জি কে শামীম।
কমিশনের একটি ভাগ চলে যেত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের কাছে। এছাড়া নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী, দলীয় নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংগঠনকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন তিনি। যুবলীগ নেতা সম্রাট এবং গ্রেপ্তার হওয়া খালেদও টাকার বিনিময়ে জি কে শামীমকে সহযোগিতা করতেন।
টেন্ডারবাজিতে সহযোগিতা নিতেন ছাত্রনেতা এবং যুব নেতাদের। শামীমের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দিয়ে সরকারি দলে ভেড়েন শামীম কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের পদ-পদবিতে টেন্ডার বাণিজ্য করা সুবিধা হচ্ছিল না। তাই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢোকার চেষ্টা চালান তিনি। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদক বুরুজ মিয়া মারা গেলে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে ওই পদের পরিচয় দিতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয় শামীমকে। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয় তাদের।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৪০ দিনে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার তিনটি কাজ থেকে কমিশন পান ২৭ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতি বছর তার টেন্ডারবাজির ভাগ-বাটোয়ারা ছিল প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এখন থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তিনি কমিশন হিসেবে পেতেন।
কমিশনের টাকা শামীম নিজে একটা অংশ রেখে বাকিটা ভাগ করে দিতেন। টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে সমস্যা হওয়ায় তার কাছ থেকে সরে এসে যুবলীগ নেতা সম্রাট এবং খালেদকে নিয়ে দল ভারী করেন। নির্যাতনের জন্য খালেদের চর্টার সেলও শামীম ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, শামীমের সেকেন্ড ইন কমান্ড রনক। রনকের নেতৃত্বে বিশাল একটি অ স্ত্রবাজ বাহিনী রয়েছে শামীমের। শামীম বাহিনীর টেন্ডারবাজির টাকা তুলতেন দিদার।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল আহাদ জানিয়েছেন, অ স্ত্র, মা দক ও মানিলন্ডারিং আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ স্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়েছে। আর মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কেবল জি কে শামীমকে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুরোপুরি তথ্য পাওয়া যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।