বিনোদন ডেস্ক : এক বিছনায় পাশাপাশি শুয়ে যদি একে অপরের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ অনুভব না করে তাহলে সেই সম্পর্ক ব্যর্থ। সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দুজন ভালোবাসার মানুষের মধ্যে শারীরিক আকর্ষণ তৈরি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাহলেই সম্পর্কের বাঁধন আরও মজবুত হয়। নব্যা নভেলি নন্দার podcast-এ ঠিক এমনটাই বলেছেন হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। বচ্চন বধূর এই দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু, তাঁর নাতনির ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বিবাহিত তকমা ছাড়াই যদি নভ্যা কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাহলে জয়ার কোনও সমস্যা নেই।
বরং তিনি নভ্যার podcast-এ জানিয়েছেন, বিয়ের আগে যদি বচ্চন পরিবারের নাতনির কোলে সন্তান আসে তাকেও তিনি সাদরে গ্রহণ করে নেবেন। অভিনেত্রী আপশোস মন্তব্য করেছেন, তাঁদের সময় এইরকম ভাবনাচিন্তা করার কোনও অবকাশই ছিল না। তবে মর্জান যুগে এই বিষয়টা নিয়ে ছিছিক্কার করার কোনও মানেই নেই। তাঁর মতে একটা সম্পর্ক কখনই শুধুমাত্র ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সমঝোতার উপর টিকে থাকতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শারীরিক আকর্ষণ ‘মাস্ট’।
নভ্যার podcast-এ জয়া বলেন, “অনেকেই হয়তো আমার এই চিন্তাভাবনার দৃষ্টিভঙ্গিকে ভালো নজরে দেখবেন না। তবে আমি একটা কথা অবশ্যই বলব যে সম্পর্ককে মজবুত করতে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আকর্ষণ থাকা খুব প্রয়োজন। আমাদের সময় তো এই ধরণের এক্সপেরিমেন্টের কোনও সুযোগ ছিল না।
কিন্তু, আজকের প্রজন্ম যখন সুযোগ পাচ্ছে তখন তাঁরা সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার কেন করবে না? একটা সম্পর্ককে সারাজীবন সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখতে শারীরিক সম্পর্কের অবদান অনস্বীকার্য। যে সম্পর্কে কোনরকম শারীরিক চাহিদা নেই সলেই সম্পর্ক অচীরেই শেষ হয়ে যায়। ”
অভিনেত্রীর সংযোজন, “আমার পরবর্তী প্রজন্ম শ্বেতা, তাঁরাও এই মর্ডান চিন্তাভাবনা করার সাহস পেত না। সেই সময় বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তা হয়ে উঠত চর্চার মোক্ষম টপিক। এর ফলে সেই মেয়েটিও বিবেক দংশনে ভুগতে শুরু করত। নভ্যা এই যুগের মেয়ে।
তাঁরাও অনেক সময় প্রাক বিবাহ শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় এটা খুব ভুল। বরং শারীরিক সম্পর্কের পড়ে যদি মনে হয় দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবে তাহলে ভালো নাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে যাওয়া উচিত। সুন্দর ও সুখী সম্পর্কের জন্য আমার মনে হয় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে গোটা জীবনটা কাটানো উচিত।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।