জুমবাংলা ডেস্ক : শাশুড়ির থেকে ৫৩ বছর আর মায়ের থেকে ৪৮ বছরের বড় মেহেরপুরের অনজু রানী হালদার। ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী, তার বর্তমান বয়স ১০৫ বছর। এই সমস্যার কারণে সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্জিত হচ্ছেন অনজু রানী হালদার।
অভাবের সংসারে চেষ্টা করেও পাননি ছোট শিশুর শিশু ভাতাও। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে পরিবারের সদস্যরা। এদিকে অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
অনজু রানী হালদার। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী, তার জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারি ১৯৯৪। অথচ ভোটার আইডি কার্ডে তার জন্ম তারিখ ১০ মে ১৯১৯ সাল। ভোটার কার্ড অনুযায়ী, তার বর্তমান বয়স ১০৫ বছর ৩ মাস। তার শ্বাশুড়ি করুনা হালদারের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯৭২। তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর ৮ মাস। অনজু রানী হালদার তার শাশুড়ির থেকে ৫৩ বছরের বড়। ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী, অনজু রানী হালদারের মা ভানুমতি বিশ্বাসের জন্ম তারিখ ২ মার্চ ১৯৬৭ সালে। তার বর্তমান বয়স ৫৭ বছর। অনজু রানী হালদার তার মায়ের থেকেও ৪৮ বছরের বড়। ঘটনাটি মেহেরপুর শহরের হালদার পাড়ার। এমন ঘটনায় হতবিম্ব এলাকাবাসী। শাশুড়ি কিংবা মায়ের থেকে কীভাবে বড় হয় মেয়ে ? আনজু রানী হালদার মাগুড়া জেলার বিশ্বনাথ কুমার বিশ্বাসের মেয়ে। বিয়ে হয় মেহেরপুর শহরের হালদার পাড়ার সুকুমার হালদারের সঙ্গে।
নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, ২০১২ সালে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেন অনজু রানী হালদার। স্মার্ট কার্ড পান ২০১৭ সালে। করোনার সময় টিকা দেওয়ার জন্য আনতে যান ভোটার আইডি কার্ড। এরপর দেখতে পান এই ভুল। সেদিন থেকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ঘুরেছেন বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কোন সমাধান পান নি তিনি। হতাশায় ছেড়ে দিয়েছেন সব আশা। অভাবের সংসারে সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
অনজু রানী হালদারের শ্বাশুড়ি করুনা হালদার বলেন, কোন কাজই এখন ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া হচ্ছে না। অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। ছোট বাচ্চার শিশু ভাতাও পাওয়া যায় নি এই সমস্যার কারণে। আর আমার থেকে আমার বৌমার বয়স বড় এটা কি হয়। আমাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বলেন, যখন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করা হয় তখন যে কোন ভাবে হয়তো ভুল হয়েছে। তারা যেহেতু শিক্ষিত না তাই তারাও হয়তো বুঝতে পারে নি। এই ভুলের সঙ্গে জড়িত যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এলাকার অনেকেরই এমন ভুল আছে। অনেকে ঘুরে ঘুরেও কোন সমাধান পান না তারা।
অনজু রানী হালদার বলেন, আমি তো শিক্ষিত না। তাই আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। যখন এই সমস্য দেখতে পেলাম তখন থেকে বিভিন্ন লোকের কাছে পৌরসভার মেম্বারের কাছে গিয়েছি। তারা শুধু বলেছে ঠিক হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কয়েকজন আমার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ করে দেয় নি। কোথায় যেতে হবে আমরা তো জানি না । তাই আজও সমস্যার সমাধান হয় নি। এই সমস্যার কারণে কোন সুযোগ সুবিধাও পাই না। তাই আমার সমস্যার সমাধানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
মেহেরপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমি দেখেছি। যখন ফরম পূরণ করা হয়েছে সেখানেই ভুল আছে। কোন চিন্তার বিষয় নেই। অনলাইনে আবেদন করলে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-জনকণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।