হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনে শত শত টন আমদানি করা পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করতে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ মূলত আন্তর্জাতিক আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষণাগার, যেখানে শুল্কায়ন (কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত পণ্যগুলো রাখা হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি আলাদা কার্গো কমপ্লেক্স রয়েছে—একটি আমদানির জন্য, অন্যটি রপ্তানির জন্য। অগ্নিকাণ্ড ঘটে আমদানি অংশে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এই কার্গো ভিলেজে সাধারণত বৈচিত্র্যময় ও উচ্চমূল্যের পণ্যসামগ্রী সংরক্ষিত থাকে। এর মধ্যে রয়েছে—
ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী
ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রাংশ (মোবাইল, ল্যাপটপ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুলস ইত্যাদি)
তৈরি পোশাক ও কাপড়
হালকা ও মাঝারি মেশিনারি
আন্তর্জাতিক কুরিয়ার প্যাকেট ও নথিপত্র (যেমন DHL, FedEx)
অনলাইন কেনাকাটার পণ্য (ই-কমার্স গ্যাজেট, অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি)
কার্গো ভিলেজে সংরক্ষিত এসব পণ্যের আর্থিক মূল্য কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি করা ওষুধ, ইলেকট্রনিক পণ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও বেশিরভাগ পণ্য বিমা কাভারেজের আওতায় থাকে, সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া কঠিন হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।