জুমবাংলা ডেস্ক : দখল, উৎখাত আর জোর জবরদস্তির মাধ্যমে খিলগাঁও শাহজাহানপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন যুবলীগের আলোচিত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এক্ষেত্রে তার প্রধান সহচর ছিলেন খালেদ মাহমুদ ভূ্ঁইয়া। এলাকার মানুষ এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া যায় এমন তথ্য।
এছাড়া সম্রাটের আরেক সহযোগী আরমান নানা অপকর্মে হাত পাকিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নেমে এ অঙ্গনকে কলুষিত করেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। র্যাব বলছে, সব অপরাধের বিষয়ই বিবেচনায় রয়েছে তাদের।
গত কয়েকদিন আগেও শাহজাহাপুর এলাকার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ছিল খালেদ ভূঁইয়া। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী নিশ্চুপ থাকলেও তার গ্রেফতারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন তারা। চাঁদাবাজি নির্যাতন ছিল নিয়মিত ঘটনা। চাইলেই দখল করে নিতেন কারও দোকান কিংবা বাড়ি। এখন গ্রেফতারের পর এ রকম দুটি দখল করা দোকান ছেড়ে পালিয়েছেন তার লোকজন। আর তার এসব কাজের প্রধান প্রশ্রয়দাতা ছিলেন সম্রাট। চাঁদার ভাগও যেত তার কাছে।
বরকতুল্লাহ মাহমুদ পৈতৃক জায়গায় ছয়তলা ভবন করেন কয়েক বছর আগে। গতবছর জোর করে সম্রাটের ইশারায় সেখানকার একটি ফ্ল্যাট দখল করে নেন খালেদ। এ নিয়ে নানা জায়গায় দেনদরবার করেও শেষ রক্ষা হয়নি বরকতুল্লাহর।
তিনি বলেন, খালেদের হুমকিতে আমার বড় ভাই গতবছর মারা যান। তারা একই সঙ্গে একই দলের মানুষ, একজন সভাপতি একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, তারা একসঙ্গে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে, লাগেজ পার্টির ব্যবসা থেকে সম্রাটের আশ্রয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হন আরমান। ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় বিশ্বস্ত আরমানকে সহ-সভাপতি করেন সম্রাট। একপর্যায়ে দেশ মাল্টিমিডিয়া নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা বানিয়ে নাম লেখান চলচ্চিত্র প্রযোজনায়।
এদিকে র্যাব বলছে, সব অভিযোগের ব্যাপারেই তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে খালেদ, শামীম এবং সম্রাটকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আইন ওগণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, জিকে শামীমকে আমরা ৯ দিনের রিমান্ডে পেয়েছি। খালিদকেও রিমান্ডে আনা হয়েছে। প্রত্যেকটা রিমান্ডের একটা সময় থাকে, তারপর আমরা চেষ্টা করব এবং সুযোগ থাকে অবশ্যই একসঙ্গে করে জিজ্ঞাসাবাদ করা তাদের।
সম্রাট, আরমানকে গ্রেফতারের মাধ্যমে একটি অধ্যায় শেষ হয়েছে মন্তব্য করে র্যাব জানায় এ অভিযান চলমান থাকবে জানান তিনি। সূত্র : সময় টিভি অনলাইন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।