আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন শাহবাজ শরিফ। শনিবার দিবাগত রাতে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৭৪ জন তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
জানা গেছে, ১১ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে হাউসের সদস্যরা ফের বৈঠকে বসবেন। আর তারপরই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সবথেকে দীর্ঘমেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীও তিনি। তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই মুহূর্তে পাক সংসদে বিরোধী দলনেতা।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সামরিক অভ্যুত্থানের পর শাহবাজ শরিফকে কারাবন্দি করা হয় এবং সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়। পরে ২০০৭ সালে তিনি দেশে ফেরেন। দাদা নওয়াজ শরিফ দেশ ছাড়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টও হন শাহবাজ।
শাহবাজের জন্ম পঞ্জাবের লাহোরে। একটি পাঞ্জাবি ভাষী কাশ্মীরি পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা’র নাম মহম্মদ শারিফ। পাকিস্তানের নামকরা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। শাহবাজও একজন ব্যবসায়ী। একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর নামে। লাহোরের গর্ভমেন্ট কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকে আর্টসে স্নাতক করেছেন শাহবাজ। ব্যবসা করতে করতেই ১৯৮৫ সালে লাহোর চেম্বার অফ কমার্স এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন।
শাহবাজ ১৯৮৮ সালে পঞ্জাবের প্রত্যন্ত বিধানসভায় নেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর জাতীয় সংসদেও কাজ করেছেন। আর তা ১৯৯০ সালে। এরপর ১৯৯৩ সালে আরও একবার পঞ্জাব বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হন শাহবাজ। এরপর বিরোধী দলনেতা হিসাবে সংসদে কাজ করেন। এমনকি ১৯৯৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন নওয়াজের ভাই। কিন্তু ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে হওয়া সেনা অভ্যুত্থানের কারণে শাহবাজ তাঁর গোটা পরিবারকে নিয়ে লুকিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। সেখানেই কয়েক বছর কাটান। এরপর ২০০৭ সালে ফের একবার পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
ইমরান সরকারের পতনের পর শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘কোনওমতেই বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না তিনি। এই ফল পাক জনগণের ইচ্ছেতেই হয়েছে। পাকিস্তানে সুদিন ফিরতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সদ্য স্পিকারের আসনে বসা আয়াজ সাদিক শাহবাদ শরিফকে অভিনন্দন জানান। তা থেকেই স্পষ্ট শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার দৌড়ে রয়েছেন আরও এক বিরোধী দলনেতা বিলাবল ভুট্টোও। শেষমেশ কে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন তা সম্ভবত কালকেই জানা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।