জুমবাংলা ডেস্ক : শিকলে আটকে আছে ৮ বছরের শিশু মোসা. শারমিনের জীবন। কাউকে কিছু না বলে যেখানে খুশি সেখানে চলে যাওয়ার কারণে প্রায় এক বছর ধরে তাকে শিকল পরিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে শারমিনের সঙ্গে দেখা হয় একটি বিপণিবিতানের সামনে। সঙ্গে তার বাবা ও মা ছিলেন। তাদের অভাবের সংসার। অন্যের দুয়ারে হাত পেতে যা পান তা দিয়েই সংসার চলে তাদের।
শারমিনের বাবার নাম মো. আলম মোল্লা (৬০) ও মা মোসা. হালিমা বেগম (৫৫)। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে তাদের বাড়ি।
মা হালিমা বেগম বলেন, ‘এক বছর হয় আমার মাইয়াডার মাথা খারাপ হইছে। মন যেই হানে চায় হেই হানে চইল্লা যায়। তাই শিকল দিয়া আটকাইয়া রাহি। ওর (শারমিনের) বাবা আর আমি অন্যের দুয়ারে হাত পাইত্যা যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই।’
শারমিনকে গোসল, খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের সময় হাতে শিকল লাগিয়ে তালা মেরে খুঁটির সঙ্গে আটকে রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি।
বাবা আলম মোল্লা বলেন, ‘অভাবের সংসার। মাইয়াডারে চিকিৎসা করানোর কোনো টাকা নাই। তাই শিকল দিয়ে আটকে রাখি।’
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এএসএম সায়েম বলেন, ‘শারমিন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে চিকিৎসা করানো হলে ভালো হয়ে যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।