জুমবাংলা ডেস্ক : ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছর থেকে এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপত্বিতে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালার বিষয়ে ড. গোলাম ফারুক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় এবং আদায়কৃত অর্থ নানানভাবে লুটপাটের ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসছিল। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা নেই। এ কারণে এই নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খসড়া নীতিমালাটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী বছর থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হতে পারে। এটি বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন, ভর্তি ফি, সেশন ফি এবং বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণ ফিসহ যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নীতিমালাটি হচ্ছে। এটি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি ও বেতনের অর্থ আদায় করতে হবে। কোনোভাবে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করা যাবে না। আদায়কৃত সব অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ তহবিলে জমা রাখতে হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ফি কাঠামো এবং আয়-ব্যয় সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে তা জারি করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।