শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা টিপস

Time management tips

আচমকা পরিকল্পনা এড়িয়ে চলতে হবে। বরং এমনভাবে কার্যকরী ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে যেখানে ডেডলাইন, অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা, সামাজিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য নানা কাজ গুছিয়ে নেওয়া যায়। সময় ব্যবস্থাপনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক গুণ। একজন শিক্ষার্থী এই গুণটি আয়ত্ত করতে পারলে তার শিক্ষাজীবনের যাবতীয় কাজ করা সহজ হয়ে যায়। একইসাথে সফলতা লাভের ক্ষেত্রেও সেটি বেশ ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে।

Time management tips

 

ক্যালেন্ডার তৈরি করুন

আচমকা পরিকল্পনা এড়িয়ে চলতে হবে। বরং এমনভাবে কার্যকরী ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে যেখানে ডেডলাইন, অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা, সামাজিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য নানা কাজ গুছিয়ে নেওয়া যায়। এটিকে সবসময় নিজের সাথে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় মোবাইলের ডিজিটাল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা।

রিমাইন্ডার ঠিক করা

ছোটখাটো কাজগুলো যাতে বেখায়ালি আচরণের ফলে ভুলে না যান তাই রিমাইন্ডার ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইলের অ্যালার্ম সেট করা যেতে পারে। এমনকি বেশিরভাগ ফোনে আলাদা করে রিমাইন্ডার অপশনও থাকে। এতে করে ব্যস্ততার মাঝেও ছোটোখাটো কাজ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে।

শিডিউল তৈরি করা

প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার ধরন আলাদা। সেক্ষেত্রে তাদের শিডিউলও আলাদা হওয়া উচিত। ফলে নিজের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে শিডিউল তৈরি করতে হবে। সেখানে ক্লাস, পড়ালেখার সময়, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের কর্মক্ষমতাকেও বিবেচনায় নিতে হবে।

সহযোগিতা নিতে হবে

আশেপাশের ঘনিষ্ঠ মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হবে। নিজের সহপাঠী, পরিবার-পরিজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। যাতে করে নিজের সমস্যা সমাধান করে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।

বাস্তববাদী হওয়া

সবসময় পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব হবে এমনটা ভাবা বোকামি। বরং প্রায়শই পরিকল্পনা বাস্তবতার নিরিখে পরিবর্তন করতে হতে পারে। একইসাথে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের সময় বাস্তববাদী হতে হবে। ঐ কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করা যাবে কি-না সেটি ভাবতে হবে। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হাতে অতিরিক্ত সময় রাখতে হবে। এতে করে নিজের ওপর চাপও কমে আসবে।

প্রতিটি অধ্যয়ন অধিবেশনের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যক পৃষ্ঠা পূরণ করা বা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করা। অধ্যয়ন সেশনের সময় সেল ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলুন। একবারে একটি কাজের উপর ফোকাস করুন, কারণ মাল্টিটাস্কিং দক্ষতা হ্রাস করে। দিনের প্রথম দিকে বা স্কুলের ঠিক পরে যখন আপনার শক্তির মাত্রা বেশি থাকে তখন অ্যাসাইনমেন্টগুলিতে কাজ করুন।