জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত থাকা বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যমুনা নিউজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে বাকি থাকা এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। এ নিয়ে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অনেক পরীক্ষার্থী আহত, চিকিৎসাধীন আছে। তাই অবশিষ্ট এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হলো। পরীক্ষার ফলাফলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এইচএসসির অবশিষ্ট পরীক্ষায় না দেয়ার দাবিতে আজ দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারও পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থী না দেয়ার দাবি তোলেন তারা। এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানান।
এর কারণ হিসেবে সচিবালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করা এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানায়, আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসে।
গত ৩০ জুন চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
তবে এই আন্দোলন পরবর্তীতে তীব্র হয়ে উঠেলে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।
সবশেষ আজ সকালে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।