
উত্তরবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে শিদল আজও সেই একই প্রাচীন স্বাদে আছে। রোদে শুকানো শুঁটকি মাছ এবং কচু দিয়ে তৈরি এই খাবার কেবল গ্রামীণ পরিবারের রসনা সন্তুষ্ট করে না, বরং শত বছরের ঐতিহ্যও ধরে রাখে।
শিদল তৈরির প্রক্রিয়া যত সরল, তার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য। শুঁটকি মাছকে রোদে শুকানো, কচুর ডাটা ও মশলা মেখে গোল বা চ্যাপ্টা মণ্ড তৈরি করা—সবগুলো ধাপেই রয়েছে গ্রামের মানুষের দক্ষতা। জলপাইগুড়ির এক শিদল প্রস্তুতকারী জানালেন, “শিদল বানানো মানে শুধু খাবার তৈরি করা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে জীবিত রাখা।”
শিদল গ্রামের প্রতিটি উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুর্গাপূজা হোক বা পহেলা বৈশাখ, অতিথি আপ্যায়ন হোক বা পারিবারিক জমায়েত—শিদল ছাড়া অনুষ্ঠান পূর্ণ হয় না। এই খাবার তাই শুধু পেট ভরানোর নয়, এটি উত্তরবঙ্গের মানুষদের জীবনধারা, স্মৃতি এবং ঐতিহ্যের এক বিশেষ চিহ্ন।
শিদলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে শহরেও। ফুড ব্লগাররা শিদলের স্বাদ এবং ঐতিহ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালী নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের শিদল তাই শুধু খাবার নয়—এটি সেই ঐতিহ্যবাহী স্বাদ, যা রোদে শুকানো শুঁটকি ও কচুর ডাটার মধ্যে লুকিয়ে আছে গ্রামের গল্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।