জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশে পুনরায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসার শুরুতেই শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। রোববার সকালে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেলেও দুপুর গড়াতে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রী সাধারণ। এরপরও থেকে থাকেনি ঘরমুখো মানুষের ঢল। লঞ্চ, সি-বোট ও ট্রলার বন্ধ থাকলেও ফেরিতেই ঘরমুখো যাত্রীদের পারাপার ছিল সারাদিন।
এর মধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দক্ষিণবঙ্গে যাওয়ার জন্য দুপুর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘরমুখী যাত্রীরা মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা ও পিকআপভ্যানে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে দেখা যায়।
কথা হয় মাদারীপুর জেলার হাসান আলী বেপারির সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘ ৯ বছর যাবত তার পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করছেন। তিনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। গত বছর করোনার প্রভাবে এলাকায় চলে আসেন। এরপর পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলে তিনি পুনরায় পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরেন।
তিনি বলেন, এপ্রিলে করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হলে বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতে ও সব খরচ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দোকানপাট লকডাউনে বন্ধ হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
গত এক সপ্তাহ ঢিলেঢালা লকডাউন গেলেও আগামী সপ্তাহে কঠিন লকডাউনের কথা ভেবে এবং সামনে রমজান মাস- সব মিলিয়ে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
মাওয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, লকডাউনের কারণে লঞ্চ, সি-বোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু ফেরি চলাচল করছে। আর ফেরিতে করেই দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে রোববার। শিমুলিয়া ঘাটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চালু রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীদের চাপের মুখে নাকাল হয়ে পড়েছে ফেরি সার্ভিস।
লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, আগামী লকডাউনের খবর শুনে পুনরায় যাত্রীর ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।