জুমবাংলা ডেস্ক : হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে সালথায় উত্তোলনের অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের বেশিরভাগ নিচু জমির পেঁয়াজখেত তলিয়ে গেছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাব্যাপী শিলাবৃষ্টি হয়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ঋণগ্রস্ত চাষিরা।
জানা গেছে, পেঁয়াজ চাষ করে সারা বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন সালথা বেশিরভাগ পরিবার। এবার উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, এমনিতেই এবার পেঁয়াজের আশানুরূপ ফলন হয়নি। এরমধ্যে আবার শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। অন্যদিকে সারা বছরই বাজারে পেঁয়াজের দামও তুলনামূলক কম ছিল। সব মিলিয়ে এবারো পেঁয়াজ চাষ করে তারা পথে বসে যাবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সালথার বালিয়া গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বেশিরভাগ নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেছে। আর উঁচু জমির পেঁয়াজ শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা পেঁয়াজখেতের ভেতরে আগাম পাটের বীজ বপন করেছেন, তাদের আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এমন অবস্থায় চাষিরা একবুক হতাশা আর মাথায় দুশ্চিন্তা নিয়ে খেতের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ শ্রমিকদের নিয়ে কাদা-পানিতে নেমে পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন।
বালিয়া গ্রামের চাষি মো. সবুর খান বলেন, আমি এবার চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজই তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া এসব পেঁয়াজ ঘরে মজুত রাখা সম্ভব না। ঘরে রাখলে সব পচে যাবে।
মো. মনসুর মাতুব্বর নামে আরেক কৃষক বলেন, গত বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান হয়েছে। তারপরও এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ফলন তেমন ভালো হয়নি। দুই-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ ঘরে নিতে চেয়েছিলাম। তার আগেই শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজ তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, গতকালের (বুধবার) শিলাবৃষ্টিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের। কিছু নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেলেও পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়া এমন থাকলে বা আর বৃষ্টি না হলে তলিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের বেশি ক্ষতি হবে না। তবে এসব পেঁয়াজ বেশিদিন ঘরে রাখা যাবে না। আর শিলার আঘাতে পেঁয়াজের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে বেশি সমস্যা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।